একদিন মাঝরাতে ঘুম আসছিল না বলে পৌলমী পায়চারি করছিল বাগান বাড়ির বারান্দায়। সে গানের পড়ুয়া। তাই ওই বাড়িতেই ওর হস্টেল রুম। বারান্দায় ছোট ছোট আলোয় আলো-আঁধারি পরিবেশ। এখানে জমিদারদের নাচ-গানের আসর বসতো যে ঘরে তা সবসময়ই বন্ধ থাকতো। শুধু বছরের একদিনই সে ঘর খোলা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠার দিন। পৌলমী হঠাৎ শুনতে পেলো ঘুঙুরের আওয়াজ। গুনগুন গানে ঘরের মধ্যে যেন হাসি-ঠাট্টার মজলিস বসেছে। কিন্তু কেমন করে সম্ভব! ভয়ে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে। ইচ্ছে করে ছুটে ওর ঘরে ফিরে যায়। অবশ পাগুলোকে টানতে টানতে ওর ঘরে ঢুকে বিছানায় সংজ্ঞা হারায়। পরেরদিন সকাল ছিল একটা নতুন স্বাভাবিক সকাল। পৌলমী সে রাতের ঘটনা ওর বন্ধুদের বলতে, তারা বললো আরেকটি ঘটনার কথা।
অনতিদূরের এক হস্টেল বিল্ডিংয়ে থাকতো স্নেহা। ভূগোলের ছাত্রী ছিল। স্নেহাও এক রাতে রাস্তার ল্যাম্প পোস্টের নিচে এক সাদা কাপড়ে ঢাকা ছায়ামূর্তি দেখেছিল। রাতে হস্টেল পাহারা দেয় সিকিউরিটি দাদারা। কিন্তু ওই সাদা কাপড়ের আড়ালে কে ছিল! স্নেহার কয়েকজন সহপাঠীও সেদিন ওর সঙ্গী হয়েছিল। ওরা দেখলো ছায়ামূর্তিটা পাশের বিল্ডিংয়ের বন্ধ গেটের কাছে গিয়ে কেমন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। ভুতের ভয়ে সবাই দৌড়তে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে একে অপরের ওপর পড়ে যায়।
আমি ছিলাম ওই স্নেহার এক সহপাঠী। আজও ঘটনাটা চোখে ভাসে। আজও কলেজ আর কলেজ হস্টেল তরতরিয়ে চলছে। শুধু কলেজের নামটা নাইবা বললাম।
0 মন্তব্যসমূহ