এই বইটিতে জীবনবৃত্তান্ত এবং শিক্ষামূলক গল্পগুলির স্রষ্টা গ্রিক উপকথার জনক ঈশপ। আবার ঈশপ নামে সত্যি কেউ ছিলেন নাকি কাল্পনিক চরিত্র তা নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জানিয়েছেন, ‘রাজা বিক্রমাদিত্যের পাঁচ-ছয় শত বৎসর পূর্বে, গ্রীস দেশে ঈশপ নামে এক পণ্ডিত ছিলেন। তিনি কতকগুলি নীতিগর্ভ গল্পের রচনা করিয়া আপন নাম চিরস্মরণীয় করিয়া গিয়াছেন।’
শিক্ষাকর্মাধ্যক্ষ উইলিয়ম গর্ডন ইয়ঙের ইচ্ছেতে বিদ্যাসাগর ঈশপের প্রায় আড়াইশ গল্পের মধ্যে পঁচাশিটি গল্পের অনুবাদ করেন। ১৮৫৬-র ফেব্রুয়ারিতে তা ‘কথামালা’ নাম দিয়ে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
সেই অতি পরিচিত গল্পগুলিকে সুনিপুণ ছড়ার ছন্দে গেঁথেছেন কবি ভাগ্যধর বৈদ্য। যা অনায়াসে ছোটোদের মুখে মুখে ফেরার মতো-
‘একটি রাখাল গোরু চরায় / গভীর বনের ধারে / ‘বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে’ / বলে বারংবারে।’ অথবা
‘বাঘের গলায় হাড় ফুটেছে / ব্যর্থ হাজার চেষ্টা, / পুরস্কারের লোভে হাজির / এক সাদা বক শেষটা।’
নতুন করে চেনা গল্পগুলিকে এইভাবে পেয়ে সব বয়সের পাঠকই যে আহ্লাদিত হবে একথা অনায়াসেই বলা যায়।
কবি পরিচিতি : এই সময়ে শিশুসাহিত্যে ছোটোদের জন্য যে কজন কলম ধরেছেন, ভাগ্যধর বৈদ্য তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ছোটোদের জন্য ছড়া-কবিতা-গল্প ও নাটক লিখে দুইবাংলার পাঠক সমাজে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
সরল মনের বন্ধুবৎসল ও পরোপকারী সাহিত্য-আড্ডাপ্রিয় মানুষটির জন্ম দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের বাপুলীরচক গ্রামে।
মূলত শিশুসাহিত্যক। ছড়া-কবিতা, গান, গল্পে বেশ সাবলীল, পরিশীলিত ও পরিমার্জিত লেখা লিখতে যেমন পারেন তেমনই অন্যজনকে লেখার ব্যাপারে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতেও ভালোবাসেন।
লেখালেখির জন্য ২০০২ সালে ‘যোগীন্দ্রনাথ সরকার’ পুরস্কার, ২০০৬ সালে ‘ক্ষীরোদ চন্দ্র দত্ত’ পদক, ২০০৭ সালে ‘অজগর’ পুরস্কার ছাড়াও আরও অনেক সম্মাননা পেয়েছেন।
এপার বাংলা থেকে প্রকাশিত কেউ ছেঁড়েনি পাতা, মজায় গড়া হাসির ছড়া এবং ওপার বাংলা থেকে প্রকাশিত কাঠবেড়ালির ঘর-সংসার ও আদিম যুগের ইতিহাস তাঁর উল্লেখযোগ্য বই।
প্রচ্ছদ : অমর লাহা
অলংকরণ : প্রদীপ বৈদ্য
ISBN : 978-81-953156-7-3
দু-রঙে ছাপা # হার্ডবোড বাইন্ডিং # ঠকঠকে ন্যাচারাল কাগজ # ঝকঝকে ছাপা # ৮৪ পাতা # ছোটোদের উপহার দেওয়ার মতো বই।
মূল্য : ১৫০ টাকা
(১৫% ছাড়ে এবং ফ্রি হোম ডেলিভারি)। বাড়িতে বসেই বইটি পেতে হোয়াটস অ্যাপ করুন ৯০০৭৭৬৭৫৫১ নম্বরে।
0 মন্তব্যসমূহ