Ticker

20/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

এক-রাতের ইতিহাস ।। হেমেন্দ্র কুমার রায়


 

গাঁয়ের রঘু চাটুয্যে বেঁচে থেকে সবাইকে যেমন জ্বালিয়ে ছিল, মরেও আমাদের কজনকে তেমনি জ্বালিয়ে গেল। তার মরা উচিত ফাঁসিকাঠে, কিন্তু সে মরল বিছানায় শুয়ে।

আজ কদিন ধরে বিষম বাদলা নেমেছে, মেঘের আড়ালে ডুব মেরে সুয্যিঠাকুর দিব্যি ঘুম দিচ্ছেন। থেকে-থেকে বাজের গুড়গুড়নি, তবে তা সুয্যিঠাকুরের নাক-ডাকার আওয়াজ বোধকরি নয়। দিন-রাত বৃষ্টির কামাই নেই, কখনও মুষলধারে, কখনও টিপ-টিপ করে।

দিনেই চারিদিক ঘুটঘুট করছে, রাতের তো কথাই নেই। এই ভিজে অন্ধকার রাতে দুর্দান্ত রঘু চাটুয্যে হঠাং পটল তুলে বসল।

রঘুকে সবাই ভয় আর ঘেন্না করত। তার উপরে এই দুর্যোগ, আর শ্মশান হচ্ছে গাঁ থেকে চার মাইল দূরে। কাজেই মড়া পোড়াতে যেতে কেউই রাজি হতে চাইলে না।

নরকে নিয়ে যাবার সময়ে যমদূতেরা যদি রঘুর দেহটাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে নরকের অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দিত, আমরা তাহলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতুম। কিন্তু তা যখন হল না, তখন কি আর করি, রঘুর বুড়ি মায়ের কান্নাকাটি শুনে আমরা চারজনেই মড়া নিয়ে শ্মশানে যেতে রাজি হলুম।

টিপ-টিপ করে ইলসেগুঁড়ি ঝরছে আর ঝরছেই, পথে প্যাচ-প্যাচ করছে কাদা আর চারিদিকে থম-থম্ করছে মিশমিশে কালো রাত। একটা ভারি মড়া কাঁধে করে আমাদের চারজনকে, এই চার মাইল দুর্গম বনপথ পার হতে যে প্রাণান্ত-পরিশ্রম করতে হবে, সে-বিষয়ে আর কোনই সন্দেহ নেই।

বাড়ির বাইরে পা দিতে-না-দিতেই মাথার উপরকার বটগাছের ডাল থেকে চ্যাঁ-চ্যাঁ করে একটা পেঁচা চেঁচিয়ে উঠল।

সেই অলক্ষুণে ডাক শুনে মধু খুড়ো হরিবোল, হরিবোলবলে প্রাণপণে চিৎকার করতে লাগলেন।

মাধব বললে, “রোঘো, আমাদের সহজে নিষ্কৃতি দেবে বলে মনে হচ্ছে না। আজকের রাতটা ভালোয়-ভালোয় কাটলে বাঁচি।

মাণিক অস্ফুট কণ্ঠে বললে, “রাম, রাম!"

আমি মুখে আর কিছু বললুম না।

রঘুর চাকর খ্যাঁদা লণ্ঠন নিয়ে আগে-আগে চলল, তার পিছনে-পিছনে পিছল পথে খুব সাবধানে মড়ার খাট কাঁধে করে আমরা অগ্রসর হলুম। এই খ্যাঁদা শুধু রঘুর চাকর নয়, সে ছিল তার সকল পাপ-কাজের সঙ্গী। তার চেহারা যেমন দুষমন, তার স্বভাবও তেমনি কুৎসিত। তার ওই দুখানা কালো-কালো হাত যে কত ডাকাতি, রাহাজানি আর চুরি-জোচ্চুরি করেছে, সে আর হিসেব করে বলা যায় না। রঘু ছাড়া আর কেউ তাকে ভালোবাসতো না।

গাঁ ছেড়ে মাঠে, তারপর বনের ভিতর দিয়ে পথ, তারপর আবার মাঠ, তারপর নদীর ধারে শ্মশান। কিন্তু আজকের ঘুটঘুটে অন্ধকারে মাঠ আর বন, আকাশ আর পৃথিবী সব একসা হয়ে গেছে। তাদের অস্তিত্ব বোঝা যাচ্ছিল শুধু মাঝে-মাঝে জ্বলে-ওঠা বিদ্যুতের আলোয়।

খ্যাঁদার লণ্ঠনের আলো মিটমিট করে জ্বলে অন্ধকারের নিবিড়তাকেই যেন আরো ভালো করে দেখিয়ে দিচ্ছিল।

মাঠ দিয়ে খানিক এগুবার পরেই পিছন থেকে মধু খুড়ো হঠাৎ বলে উঠলেন, “আমার মনে হচ্ছে, আমাদের পেছনে-পেছনে কে যেন আসচে।

খ্যাঁদা লণ্ঠনটা মাথার উপরে তুলে সেই ম্লান আলোর সাহায্যে পিছন দিকটা দেখবার চেষ্টা করে বললে, “কৈ, কেউ তো নেই কর্তা!

আমি বললুম, “খুড়ো, এই দুর্যোগে আর অন্ধকারে কে আর সখ করে মাঠের মধ্যিখানে ভিজতে আর হোঁচট খেতে আসবে ?”

মাধব বললে, “কারুকে আর ভূতে পায়নি তো?”

মাণিক শুকনো গলায় বললে, “আঃ, আবার ও নাম কেন ? রাম, রাম!

মাঠ ছেড়ে বনে এসে পড়লুম। চলতে-চলতে মনে হতে লাগল, বনের গাছপালার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় অন্ধকারও যেন দোল খাচ্ছে! চলতে-চলতে আমাদের সকলেরই গা ছমছম করতে লাগল।

মধু খুড়ো ফের বললেন, “নিশ্চয় কেউ আমাদের পিছু-পিছু আসচে।এবারে আমি খুব কাছেই পায়ের শব্দ পেলুম!

খ্যাঁদা আবার পিছন দিকটা দেখে ঘাড় নেড়ে বললে, “কেউ নেই কর্তা!

আমি বললুম, “ভুল শুনেছ খুড়ো!

মাধব বললে, "ভুল না হতেও পারে। শুনেছি এই বনে। ব্ৰহ্মদৈত্যের বাসা আছে?”

মাণিক মৃদু স্বরে বললে, “রাম, রাম।

বনের মাঝখানে এসে কাঁধ থেকে খাট নামিয়ে আমরা একটু জিরতে লাগলুম। হঠাৎ একদল শেয়াল কোথা থেকে এক সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠল। আমরা কজন ছাড়া পৃথিবীতে যে আরো প্রাণী আছে, এতক্ষণ পরে তার সাড়া পাওয়া গেল। কিন্তু তারপরেই শুনতে পেলুম সেই অসময়ে বনের ভিতরে হেঁড়ে গলায় কে গান গাইছে-

খাটে শুয়ে কে যায় রে, কে যায় রে,

কে যায় রে ওই! পায়ে হেঁটে চলে আয়, 'সে ব'সে

দুটো কথা কই! বন ডাকে সোঁ-সোঁ ক'রে,

মন গেছে আঁধি ভ'রে, দুধু-ভাতি খাবি যদি কাছে আয়,

বলি পইপই!

গানের আওয়াজ ক্রমেই আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমরা সবাই ভয়ে হরিবোল দিয়ে উঠলুম, মাণিক শুধু রাম রামবলে চ্যাঁচাতে লাগল। গান চলল-

পচা মড়া ভালো নয়,

পোকা কার পেটে সয়?

বুড়ো-হাড়ে ন'ড়ে-চড়ে যেতে পড়ে

আমি রাজি নই!

ডালে উঠে রাত-দিন

নাচি আয় ধিন-ধিন

আর খালি গীত গাই, -নিয়ে আয়

গাছে-চড়া মই।

ব্যাঙাচীরা ডাকবে না,

ফিঙে জেগে থাকবে না,

এত রোদে ঘুরে-ঘুরে হোস্ কেন

জলে-ভেজা খই!

ও মামদো! ওরে পেঁচো।

কেন মিছে খাস কেঁচো?

আকাশকে দে মাড়িয়ে পা বাড়িয়ে,

কর হই-চই!

খাবি খায় টিকটিকি,

হাঁচি আসে দ্যাখ, দিকি!

হাঁস-ফাঁস্ মরা হাঁস,

কোথা যাস-

চই-চই-চই!

ঠ্যাং চলে শুয়ে-শুয়ে,

কার পোলা পেলে পুঁয়ে?

পাতে মোর কাঁচা মাথা দিবি নাকি?

বেশ, তাই সই।

খাটে শুয়ে কে যায় রে, কে যায় রে,

কে যায় রে ওই।

একি অদ্ভুত গান! এ কি ভয়ানক সুর! তাড়াতাড়ি মড়ার খাট নিয়ে শ্বশানের দিকে ছুটে চললুম!

শ্মশানে এসে খাট নামিয়ে আগে খুব-খানিকটা হাঁপিয়ে নিলুম।

তারপর মাধব বললে, “বনের ভেতর যে গান গাইছিল সে মানুষ নয়।

মধু-খুড়ো বললেন, “নরক থেকে রঘুর স্যাঁঙাতরা বোধহয় তাকে আগবাড়িয়ে নিয়ে যেতে এসেচে!

রঘুর চাকর খ্যাঁদা রেগে খুড়োর দিকে কটমট করে তাকিয়ে রইল।

মাণিক এত ভয় পেয়েছিল যে, কথা চুলোয় যাক তার মুখ দিয়ে আর রাম রামশব্দ পর্যন্ত বেরুল না।

আমি বললুল, “ও-সব বাজে কথা থো কর। এখন জঙ্গলে গিয়ে আবার কাঠ কেটে আনতে হবে।

মধু-খুড়ো বললেন, “অদৃষ্টে আজ অনেক কষ্টই আছে। এই কদিনের বর্ষায় ভেজা কাঠ দিয়ে কি করে যে চুলি জ্বালব, তা জানি না।"

আমি বললুম, “তবু চেষ্টা তো করতে হবে! নাও, উঠে পড়ো!"

মাণিক বললে, “আমি আর কোথাও যাচ্চি না!

-“তবে তুমি এখানেই থাকো।

-“একলা?”

-“কাজে-কাজেই!

-“ওরে বাপরে! একলা বসে আবার যদি সেই গান শুনতে পাই, তাহলে আমি আর বাঁচব না। খ্যাঁদা আমার সঙ্গে থাক।

অগত্যা সেই ব্যবস্থাই করতে হল। আমি, মধু-খুড়ো আর মাধব লণ্ঠন আর কুড়ল নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে কাঠ কাটতে চললুম।

অন্ধকারের সঙ্গে কোলাকুলি করে আকাশ তখনও ক্রমাগত জল ঢেলে যাচ্ছিল। আমাদের ডানদিকে অদৃশ্য নদী বয়ে যাচ্ছে, তার জলকল্লোল শোনাচ্ছে ঠিক যেন ডাইনির কান্নার মতন। বাঁ-দিকে এক-মাঠ ভরা অন্ধকারের ভিতর থেকে বাতাসের হাহাকার শোনাচ্চে, যেন কোনো মরো-মরো রোগীর আর্তনাদের মতন। পিছনে শ্মশান, তার বুকে চেপে বসে কাল-রাত্রির স্তব্ধতাও যেন আজ ডুকরে-ডুকরে কেঁদে উঠছে।

আচম্বিতে একদল শেয়ালও আবার চিৎকার করে কেঁদে উঠল, সঙ্গে-সঙ্গে দেখলুম, একটা মানুষের মূর্তি মাঠের অন্ধকার ভেদ করে একেবারে আমাদের সামনে আবির্ভূত হল। বেজায় ঢ্যাঙা আর লিকলিকে সরু তার দেহ। একরাশ পাকা গোঁফ-দাড়ি আর তিন-চার হাত লম্বা জটায় ঘেরা মুখের ভিতরে খুব বড়ো-বড়ো ড্যাবডেবে চোখ দুটো যেন দপদপিয়ে জ্বলে-জ্বলে উঠছে!

লোকটা আমাদের দিকে ফিরেও তাকালে না, হন্-হন্ করে শ্মশানের দিকে এগিয়ে আবার অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।

আমি চুপি-চুপি বললুম, “পাগল ?”

ঠক-ঠক করে কাঁপতে-কাঁপতে মাধব বললে, “ভূত! ভূত! ব্রহ্মদৈত্য!

মধু খুড়ো সভয়ে বললে, “চুপ, চুপ! ওই শোনো?”

আবার সেই গান-

ঠ্যাং চলে শুয়ে-শুয়ে,

কার পোলা পেলে পুঁয়ে?

পাতে মোর কাঁচা মাথা দিবি নাকি?

বেশ, তাই সই?”

প্রত্যেকে এক-এক বোঝা কাঠ ঘাড়ে করে আবার শশানের দিকে ফিরলুম।

মধু খুড়ো বললেন, “শ্মশানের দিকে যেতে আর পা উঠছে না। যদি ফের সেই মূর্তির সঙ্গে দেখা হয়?

মাধব বললে, “কাজ নেই আর শ্মশানে গিয়ে। চলো আমরা এইখান থেকেই পালাই, চলো!

আমি বললুল, “তাও কি হয়? শ্মশানে আমাদের লোকেরা যে বসে আছে।

মধু খুড়ো হতাশভাবে ঘাড় নাড়তে-নাড়তে বললেন, “শ্মশানে তারা কি আর এতক্ষণ আছে? গিয়ে দেখবে, তারা কোন্ কালে লম্বা দিয়েছে, আর সেই মূর্তিটা দিব্যি আরামে দু-পা ছড়িয়ে বসে রঘুর মড়া চিবিয়ে-চিবিয়ে খাচ্চে!

আমি বিরক্ত কণ্ঠে বললুম, “পাগলের মতন যা-তা বোকো না খুড়ো!

হঠাৎ আবার গান শোনা গেল-

ডালে উঠে রাত-দিন

নাচি আয় ধিন-ধিন্

আর খালি গীত গাই, -নিয়ে আয়

গাছে-চড়া মই।

আমরা ভয়ে কাঠ হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লুম।

শ্মশানের দিক থেকে আসছে- এবারে আর একটা নয়, দু-দুটো মূর্তি!

প্রথম মূর্তিটার মুখের পানে তাকিয়েই আমার বুকের কাছটা যেন হিম হয়ে গেল! এ যে রঘু চাটুয্যে, -যার মড়া আমরা কাঁধে করে শ্মশানে বয়ে এনেছি। -হাঁ, রঘু- রঘু- এ-রঘু ছাড়া আর কেউ নয়!

-আর রঘুর পিছনে-পিছনে চলেছে পোষা কুকুরের মতন, তার চাকর খ্যাঁদা! দেখতে-দেখতে অন্ধকারের ভিতরে তারা অদৃশ্য হয়ে গেল!

ছুটতে-ছুটতে তিনজনে আবার শ্মশানে এসে পড়লুম। দেখলুম, মড়ার খাটের পাশে বসে একলা মাণিক বলির পাঁঠার মতো কেঁপে-কেঁপে মরছে!

মধু-খুড়ো তাড়াতাড়ি সুধোলেন, “মাণিক, মাণিক ব্যাপার কি?”

আধ-মরার মতন ধুঁকতে-ধুঁকতে মাণিক বললে, "কিছু জানি না। খুড়ো, আমি আর এখানে থাকব না। আবার সেই গান শুনে আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলুম। জ্ঞান হয়ে দেখি, আমাকে এখানে একলা ফেলে খ্যাঁদা-রাস্কেল লম্বা দিয়েছে।

খাটের উপরে কাপড়ে ঢাকা মড়া তো ঠিকই রয়েছে। তবে কি আমরা যা দেখেছি তা চোখের ভুল।

মধু-খুড়ো এক টানে মড়ায় কাপড়খানা সরিয়ে দিলেন। সবিস্ময়ে দেখলুম, খাটের উপরে মড়া আছে বটে, কিন্তু তা রঘু চাটুয্যের নয়!

এই খানিক আগে মাঠের ভিতর যে জটা-দাড়িওয়ালা, রোগা ও ঢ্যাঙা মূর্তিটাকে দেখেছিলুম এটা হচ্ছে তারই দেহ। মরে একেবারে আড়ষ্ট হয়ে খাটের উপরে পড়ে রয়েছে!

আমরা সবাই একসঙ্গে আর্তনাদ করে শ্মশান থেকে পলায়ন করলুম!

বাড়িতে ফিরে নিজের বিছানায় শুয়ে ঘুমোচ্ছিলুম।

শেষ-রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল, বিছানার উপরে উঠে বসে শুনলুম, সদর-দরজার কড়া নাড়তে-নাড়তে আমার নাম ধরে কে তীক্ষ্ণস্বরে ডাকছে- "অবনী! অবনী! অবনী!

এই অসময়ে কে আবার জ্বালাতে এল? বিরক্ত হয়ে ঘরের দরজা খুলে বাইরে এসেই শুনলুম, পথের উপরে দাঁড়িয়ে কে গান গাইছে-

খাবি খায় টিকটিকি

আসে হাঁচি দ্যাখ, দিকি!

হাঁস্-ফাঁস্ মরা হাঁস, কোথা যাস-

চই-চই-চই!

শিউরে উঠে আবার ঘরে ঢুকে আবার দরজায় খিল লাগিয়ে দিলুম!

পরদিন সকালেই খবর পেলুম, মধু-খুড়ো, মাধব আর মাণিকের নাম ধরেও কাল শেষ-রাতে কে ডেকে ওই গান গেয়েছিল! বলা বাহুল্য, তারা কেউই সাড়া দেয়নি।

রঘু চাটুয্যে আর খ্যাঁদার কোনো খবর পেলুম না। তাদের সঙ্গে আর দেখা হয়নি, না হওয়াই ভালো।



আপনি যদি গল্প পড়ার সঙ্গে-সঙ্গে গল্প লিখতেও আগ্রহী থাকেন তবে স্বরচিত-অপ্রকাশিত গল্প পাঠান এই অ্যাপটিতে প্রকাশের জন্য। পাঠাবেন- wbchhelebela@gmail.com এই ই-মেলে।

গল্প শুনতে বা গল্প বলতে চাইলে আমরা আপনাকে স্বাগত জানাই "চিরকালের ছেলেবেলা"র ইউটিউব চ্যানেলে।

গল্প বলতে ইচ্ছে হলে, এই অ্যাপ থেকে পছন্দমতো এক বা একাধিক গল্প অথবা নিজের লেখা গল্প অডিও করে পাঠান ৯০০৭৭ ৬৭৫৫১ হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে। ভালো হয় অডিও করার আগে নম্বরটিতে কথা বলে নিলে।

ছোটোবন্ধুদেরও এগিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাই, আমাদের এই অ্যাপটিতে গল্প পড়তে, গল্প লিখতে আর "চিরকালের ছেলেবেলা"র ইউটিউব চ্যানেলে গল্প শুনতে, গল্প বলতে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ