সূর্য ছড়ায় আলো, আরও আলো দেন কবিগুরু।
আমি তো ছোট্ট তখন ইচ্ছেরা খুশিমতো আসে
ভোরের শিশির কণা চুপি চুপি ঝরে পড়ে ঘাসে।
দখিণ জানলা খুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকি
তখন আকাশ চিরে উড়ে যায় যাযাবর পাখি।
কবিতার গান গেয়ে কোথাও হারাতে নেই মানা
তখন আমার মনে কবিগুরু জুড়ে দেন ডানা।
ঝর্ণা সাগর নদী বাতাস তো নিজের মতো ছোটে
কবিতার সুরে গানে বেল জুঁই কুঁড়িগুলো ফোটে।
আমার কিশোরবেলা স্বপ্নের নদীতে ওঠে ভিজে
কত কিছু আঁকি লিখি ভেবে ভেবে সারা হই নিজে।
কিছুই পারি না আমি কার পায়ে রাখি হাত দুটি
সূর্য বলল জানো আজকে তোমারও আছে ছুটি
চলো যাই জোড়াসাঁকো কবিকেই খুঁজি গানে গানে
সব পথ মিশে যায়, জোড়াসাঁকো আমাকেও টানে।
দুপুর গড়িয়ে আসে বিকেলের সাতরঙা ছবি
আঁধার ঘনিয়ে এলে আলোর জ্যোৎস্না দেন কবি
একটা ছোট্টো ছেলে কবিকে নিজের মতো আঁকে
তখন মিশেছে বড়োবেলা আর, ছেলেবেলা বৈশাখে।
প্রকাশিত- চিরকালের ছেলেবেলা । এপ্রিল ২০১৩
0 মন্তব্যসমূহ