রিমির কি হয়েছে? দিদিমণি ক্লাশে ঢুকেই ছাত্রীদের দিকে জানতে চাইলেন, তোমরা কেউ জানো কি?
একজন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ওর হঠাৎ করে অসুখ হয়েছে।
কি অসুখ?
খুকখুক কাশি, গা হাত পায়ে অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে গলা জ্বালা, চোখ জ্বালা ভাব।উঠে বসতেই পারছে না। মাথা তুলতে পারছে না।
ডাক্তার দেখিয়েছে?
হ্যাঁ, দেখিয়েছে। তবে তিনিও কিছু ধরতে পারছেন না।
ডাক্তার কি বলছেন?
অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছেন।
টেস্টের রিপোর্ট কি বলছে?
ডাক্তারবাবু বলেছেন, এমন কিছু নয়। সেরে যাবে। কিন্তু সারছে না। সেজন্য দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
হ্যাঁ দুশ্চিন্তাই বটে। দুশ্চিন্তা হওয়ারই বিষয়। কারণ মেয়েটি তো যথেষ্ট প্রাণবন্ত। ছটফটে। সে যদি বিছানায় শুয়ে থাকে তো কার ভালো লাগে। তার উপরে পড়াশুনাতেও ভালো। স্কুলে না এলে ওরই তো ক্ষতি।
ঠিকই। যে রিমি সম্পর্কে খবর দিল সে বলল, দিদিমণি রিমি বলেছে, ও একটু সুস্থ হলেই স্কুলে আসবে। এসে নোটটোট নিয়ে মেক-আপ করে নেবে।
তা নেবে। কিন্তু ...
হ্যাঁ কিন্তুই। দিদিমণিকেও চিন্তিত দেখাল। তারপর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎ করে তিনি বলতে শুরু করলেন, এই অসুখটা যে শুধু রিমির হয়েছে তাই নয়, অনেকেরই হচ্ছে। এর কারণ কি জানিস?
না। সকলেই মাথা নাড়ে।
আসলে অসুখটা আসছে বাতাস থেকে। আমরা প্রতিনিয়ত যে শ্বাস নিই সে তো বাতাস থেকেই নাকি!
হ্যাঁ, দিদিমণি। সমস্বরে জানাল সবাই।
আর এই বাতাসেই মিশে থাকে জীবনের জন্য ভয়ংকর ও ক্ষতিকর নানা ধরনের বিষ।বলে দিদিমণি বলতে থাকলেন, তোরা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নাম তো শুনেছিস?
হ্যাঁ-আ-আ। যেন কোরাস গেয়ে উঠল।
তোরা তো জানিস যে আমরা বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে, শরীর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়ি। সেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসও আবার বাতাসে মিশে যায়।সাধারণত বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিশলে আশেপাশে গাছ থাকলে গাছ তা শুষে নেয়। গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে অক্সিজেন ছাড়ে। সেই অক্সিজেন আবার বাতাসে মেশে। আমরা শ্বাস নিলে অক্সিজেন আমাদের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে। অক্সিজেন আমাদের প্রাণদায়ী উপাদান আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড আমাদের শরীরের দূষণ।এই যে অনবরত আমরা অক্সিজেন নিই এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়ি- এটা একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াতেই আমরা সবাই বেঁচে আছি। তোরা সবাই জানিস তো?
হ্যাঁ, দিদিমণি। আমরা সবাই জানি। বইতে পড়েছি। গোটা ক্লাশ একযোগে জানাল।
দিদিমণি কিন্তু এখানেই থেমে থাকলেন না। তিনি বলতে থাকলেন, এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। সব কিছুই যদি আগের মতো থাকত, আগের মতো আমাদের আশেপাশে প্রচুর প্রচুর গাছ থাকত তাহলে এখন হয়তো রিমিদের মতো অনেকেরই হঠাৎ করে এতটা সমস্যা হত না। আগের মতো গাছগাছালি থাকলে প্রকৃতিতে একটা ভারসাম্য থাকত। এখন তা নেই।
কেন? নেই কেন দিদিমণি?
কারণ দেখছিস তো এখন কত কত গাড়ি, কত কত উঁচু উঁচু বাড়ি। আর এসবের জন্যই সব গন্ডগোল হয়ে যাচ্ছে।
কিরকম?
এই যে এত এত উঁচু উঁচু বাড়ি- এসব গড়ার জন্য গাছপালা যা ছিল সব কেটে ফেলতে হয়েছে। আর গাছ না থাকার জন্য বাতাসে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিশছে তা ঠিকঠাক শোষিত হচ্ছে না। বাতাস গরম হয়ে যাচ্ছে। এর উপরে, আমাদের প্রয়োজনেই অনেক অনেক কল-কারখানা তৈরি হয়েছে। সেসব জায়গা থেকেও নানা ক্ষতিকর গ্যাস
বিশেষ করে কার্বন-মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড, সালফার-ডাই- অক্সাইড, সিসা, পারদ, বেঞ্জিন যৌগ, পলিসাইক্লিন হাইড্রোকার্বন, আর্সেনিক ইত্যাদি নির্গমন হচ্ছে। সেসব তো বাতাসেই মিশছে নাকি!
হ্যাঁ।
এর ফলে কি হচ্ছে? বাতাস আর শুদ্ধ থাকছে না। সেজন্য বাতাস থেকে বিশুদ্ধ অক্সিজেন এখন আর আমরা পাচ্ছি না। আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ক্ষতিকর গ্যাসও আমাদের শরীরের ভিতরে চলে আসছে। ফলে হঠাৎ হঠাৎ করে এমন অসুখ হচ্ছে। আজ রিমির হচ্ছে, কাল তোর হবে। পরশু আমার হবে। আমাদের সকলের হবে।
কিন্তু এতসব ক্ষতিকর গ্যাস বাতাসে কিভাবে মিশছে? কারা মেশায়? এতক্ষণ শুনেও বোধহয় সবার বোধগম্য হল না। তাই একজন এই প্রশ্নটাও করে বসে।
দিদিমণি এতে এতটুকুও বিরক্ত হলেন না। উলটে বোঝানোর ভঙ্গিতেই বলতে থাকলেন, এর উত্তর শুনলে অবাক হবি।
বলুন।
এইসব ক্ষতিকর গ্যাস বাতাসে মেশে কল-কারখানা থেকে, গাড়ির জ্বালানি থেকে।
এবারে দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, এতসব ক্ষতিকর গ্যাস বাতাসে মেশায় কারা? এর উত্তরও তো খুবই সহজ। যারা এসব ব্যবহার করে তারা।এক কথায়, সমাজের ধনী সম্প্রদায়ই এজন্য দায়ী।
সবাই চমকে যায়। তারপর একজন সাহস করে বলে উঠল, কিরকম? যদি বিস্তারে বলেন।
হ্যাঁ বলি তাহলে।তাহলে শোন্।বলে বিস্তার করতে লাগলেন। এই কলকাতার কথাই ধরা যাক্।
বলুন।
কত গাড়ি চলে এখানে রোজ জানিস?
একজন বলল, পঞ্চাশ হাজার হবে।
শুধু পঞ্চাশ হাজার? কয়েকটা পঞ্চাশ হাজার গাড়ি চলে।মানে কয়েক লক্ষ গাড়ি।এর বেশিরভাগই ছোটো গাড়ি। প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, মোটোর সাইকেল ইত্যাদি। পাবলিক ভেইকেল কটা? যে কোনও বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকবি দেখবি কেবল ছোটো গাড়ির মিছিল। এগুলো সবই ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে যোগ কর অটো। সেও তো লক্ষ লক্ষ। এইসব গাড়ি চলে জীবাশ্ম জ্বালানিতে। মানে খনিজ তেল। এবারে একটু ভেব দ্যাখ এগুলো কারা ব্যবহার করছে?
যার পয়সা আছে, যার সামর্থ আছে।
রাইট।
এবারে বোঝ, এত এত যে গাড়ি তার জন্য তো তেল চাই।
হ্যাঁ। ঠিক।
তেল মানে তো জীবাশ্ম জ্বালানি। আর জ্বালানির জন্য বাতাসে যেসব গ্যাস মেশে তার কোনোটাই আমাদের শরীরের জন্য, সুস্থ থাকার জন্য অনুকূল নয়, সবই ক্ষতিকর । এছাড়াও শহরে ইদানীং ছোটো বাড়ি ভেঙে বড়ো ও উঁচু উঁচু বাড়ি তৈরির দিকে ঝোঁক এসেছে।এই যে ছোটো বাড়ি ভাঙা, বড়ো বাড়ি তৈরি এসবের জন্য প্রচুর পরিমাণে সিমেন্ট, বালিকণাও বাতাসে নিয়মিত মিশছে। বাতাসে মেশে যেখানে সেখানে ফেলা ও ডাঁই করে রাখা জঞ্জাল থেকেও। জঞ্জাল তো শুধু রান্নাঘরের আনাজপাতির খোসা নয়, তার সঙ্গে জুড়ে থাকে নানাবিধ দ্রব্য। এসবে জড়িয়ে থাকে নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ- যার কোনোটাই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। সবচেয়ে বড়ো কথা, আমাদের প্রাণবায়ু যার উপরে একান্ত নির্ভরশীল, যে নাকি বাতাস থেকে যথেষ্ট পরিমাণে দূষণ শোষণ করতে পারে সেই গাছই তো শহরাঞ্চলে প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু কি শহরাঞ্চলে গাছ নেই, গাছ নেই এখন গ্রামাঞ্চলেও। গাছ না থাকার ফলে শুধু যে ক্ষতিকর গ্যাস বাতাসে মিশে থাকছে তাই নয়, এর সঙ্গে বাতাসে মিশে থাকা সুক্ষ্ম-সুক্ষ্ম ধূলিকণা, বালিকণাও আমাদের শ্বাসগ্রহণের ফলে শরীরে ঢুকে যাচ্ছে। এসব আমরা কম-বেশি সবাই গ্রহণ করছি। কিন্তু সবাই অসুস্থ হছি না। তার কারণ আমাদের সকলের শরীরের সহনশীলতা একরকম নয়। যখনই আমাদের সহনশীলতার বাইরে চলে যায় তখনই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আমাদের সহনশীলতা কতখানি?
সাধারণভাবে প্রতি ঘনমিটারে আরপিএম (রেসপিরেবল পার্টিকুলেট ম্যাটার) ৬০ মাইক্রোগ্রাম খুব বেশি পর্যন্ত থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমানে তা অত্যধিক।এজন্য বিজ্ঞানীরা যে বায়ুসূচক তৈরি করেছেন তা হল: সবচেয়ে ভালো যদি ৫০-এর মধ্যে থাকে। কিন্তু বর্তমান বাসতব জীবনে তা অনেকটা সোনার পাথর বাটির মতো। একেবারে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে সবুজের সমারোহ, প্রচুর গাছগাছালি আছে, যেখানে
মানুষের বসতি নেই, উপরন্তু ফাড়ি ঝর্না আছে তেমন জায়গায় থাকলেও থাকতে পারে।কিন্তু এমন জায়গায় তো যাইও না, থাকিও না।
এবারে বলি, ৫১ থেকে ১০০ থাকলেও তা আমরা ম্যানেজ করে নিতে পারি। একে সন্তোষজনকও কেউ কেউ বলে থাকেন। কিন্তু ১০১ থেকে ২০০ অবস্থাকে কোনোমতেই ভালো বলা যায় না। তবু আজকের আধুনিক জীবনে, নগরায়নের কারণে একে মাঝারি মানের বলে মেনে নিতে হয়। কিন্তু ২০০ ছাড়িয়ে গেলে আমাদের খারাপ বলতেই হয়।
একজন শুধাল, দিদিমণি ২০০-র উপরেও যায়?
হ্যাঁ-আ-আ। তবে আর বলছি কী! কেন কয়েক বছর আগে, দিল্লির ফিরোজ শা কোটলায় ক্রিকেটারদের দেখিসনি? মুখে মাস্ক লাগিয়ে ফিল্ডিং করেছে কেউ কেউ। অত্যধিক বায়ুদূষণের জন্য খেলাও বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ। কোনও কোনও খেলোয়াড় তো সহ্য করতে না পেরে বমি পর্যন্ত করেছে।
কেউ কেউ মনে করতে পারলেও মুখে কিছু বলল না। কারণ পারমিতাই তো একদিন বলেছিল, ছোটোকাকু ওই ক্রিকেট নিয়ে নানারকম মন্তব্য করেছিল। সেকথা না বলে বলল, তাহলে তো দিদিমণি আমাদের চারপাশের বাতাস কোনোমতেই আর বিশুদ্ধ নয়।
না। কোনও কোনও সময়ে বিশেষ করে শীতের মরসুমে দিল্লিতে ৪০০-রও বেশি হয়ে যায়। তখন স্কুল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়। তারপর দিদিমণি একটু থেমে বললেন, আমাদের কলকাতার অবস্থাও মোটেই ভালো নয়। ৩০০-র উপরে তো হামেশাই থাকে।এখনই ৪০০ না হলেও তার কাছাকাছি। সেজন্যই তো এই কষ্টটা হচ্ছে। এই অবস্থাকে খুব খারাপ ও বিপজ্জনক বলা হয়। আমরা এখন খুব খারাপ অবস্থার মধ্যেই আছি।
দিদিমণি বলেই চলেছেন, আমাদের এখানে কোনও জায়গাতেই এখন বাতাস বিশুদ্ধ নয়, এমনকি নিরাপদও নয়। শহরাঞ্চলের বাতাসের অবস্থা শোচনীয় খারাপ, অত্যন্ত দূষিত। এর ফলে আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তনও এসেছে।
যেমন?
যেমন তো নিজেরাও বুঝতে পারছিস। বইতে পড়ছিস বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য। প্রতি দু’ মাস অন্তর ঋতুতে পরিবর্তন আসার কথা। কিন্তু তা কি নিয়ম করে আসছে?
ছাত্রীরা এ ওর ও এর মুখের দিকে তাকাতে থাকে। কারণ এদের জীবনের অভিজ্ঞতা অনেক কম। এটা বুঝেই হয়তো দিদিমণি বলতে শুরু করলেন, আমাদের ছেলেবেলায় আমরা কিছুটা হলেও দেখেছি। দেখেছি, আষাঢ়ের প্রথম দিনেই আকাশ কালো করে মেঘ জমত ও বৃষ্টি নামত। আমরা বলতাম, আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে। কিংবা রথের দিন তো বৃষ্টি হবেই। এখন তো সব ভো কাট্টা। সময়ে কিছুই হয় না। বর্ষা আসার সময়ের ঠিকঠিকানা নেই। অথচ বর্ষা আমাদের দেশে সময়ে আসার খুবই দরকার।কেন জানিস তো!
হ্যাঁ। চাষের জন্য।
ঠিক।সময়ে বর্ষা না এলে, বিকল্প হিসেবে জল তুলতে হচ্ছে মাটির নিচে থেকে।গভীর নলকূপ থেকে জল তোলার জন্য জলে আর্সেনিক দেখা যাচ্ছে। সেও তো ক্ষতিকর।আবার দ্যাখ্, শীতও তেমন আসে না। হেমন্ত তো একেবারেই উধাও। বসন্তও ক্ষণস্থায়ী। উলটে গরম জাঁকিয়ে বসছে। দিনে দিনে গরম বাড়ছে। ফলে পৃথিবীটাই গরম হয়ে উঠছে। এর ফলে শুধু যে আমরা অসুবিধেয় পড়ছি কিংবা আমরা অসুস্থ হচ্ছি তা নয়, গোটা পৃথিবীই অসুস্থ হচ্ছে।
বাব্বা!
হ্যাঁ, গরম। গরমের প্রভাবেই সময়ে শীত-বর্ষা আসে না, বছর জুড়ে কেবল গরম আর গরম। ফলে জলবায়ুতে সামগ্রিকভাবে একটা সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
সঙ্কট?
সঙ্কট তো বটেই। সঙ্কট জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে। শোনা যাচ্ছে, নাগপুর, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্রর কোথাও কোথাও কৃষিকাজে ভূ-গর্ভের জল মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করছে।
একদম ঠিক।
তো এই সঙ্কট মানে মহাসঙ্কট থেকে বের হয়ে আসার উপায় কি? উপায় কিছু আছে কি?
উপায় তো আছেই।
যেমন?
যেমন –
১. জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনে ঝুঁকতে হবে।
২. শক্তির ব্যবহার কমাতে হবে। এই কাজটা করতে হবে পরিবার থেকে। যেমন- গ্যাস, বিদ্যুৎ, জলের অপচয় কমাতে হবে।
৩. রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। এর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। অনেক দেশে ব্যক্তিগত গাড়ির লাইসেন্স ফি অনেক বাড়িয়ে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমিয়েছে। অনেক জায়গায় জোড় বিজোড় সংখ্যায় গাড়ির চলাচল করিয়ে সংখ্যা কমানো গেছে। আর ছোটো গাড়ির উৎপাদন কমিয়ে বড়ো গাড়ির উৎপাদন বাড়িয়ে গণ- পরিবহনের ব্যবস্থা বাড়ানো দরকার।
৪. প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। গাছ শুধু লাগালেই হবে না, গাছের যত্ন নিয়ে গাছকে বাঁচিয়েও রাখতে হবে। কারণ গাছই একমাত্র যে বাতাসের দূষণ রোধ করতে পারে। গাছ একইসঙ্গে জেনারেটর ও ফিলটার।
৫. গাছকে ভালোবাসতে হবে। গাছ আমাদের সুস্থ হয়ে বাঁচতে সাহায্য করে।
বলে দিদিমণি উঠতে যাচ্ছিলেন, অমনি একজন জানতে চাইল, তাহলে দিদিমণি রিমির অসুখ সারার উপায় কি?
এখন তো ওষুধ খেতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে। এটা আপৎকালীন। আর দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।
যেমন?
সেসব নিয়ে, একটু একটু করে পরে আলোচনা হবে। তারপর উঠতে উঠতে বলতে থাকলেন, আসল কথা, আমাদের নিজেদের যেমন সুস্থ থাকতে হবে তেমনি পৃথিবীকেও সুস্থ রাখতে হবে। পৃথিবী সুস্থ না থাকলে আমরা সুস্থ থাকব না। আর এ কাজটা আমরাই সবাই মিলে করতে পারি। বলে দিদিমণি উঠে পড়লেন। বললেন, পরে আরও আরও কথা হবে।
অলংকরণ- অভীপ্সা চিনা
Topic : Children's science stories, ছোটোদের বিজ্ঞান বিষয়ক গল্প, স্কুলের গল্প, Educational stories for children, ছোটোদের শিক্ষামূলক গল্প
0 মন্তব্যসমূহ