Ticker

20/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

চারশো হাত নিচে ।। সমীরণ মুখোপাধ্যায়






অষ্টমীর আরতি হয়ে গেল। দুর্গা মন্দিরের উঠুন আস্তে আস্তে খালি হয়ে গেল। মন্দিরের বারান্দায় তখন লালুদাদু নাতি-নাতনীদের নিয়ে মত্ত। বড়োরা চলে যেতেই নিভে গেল হ্যাজাকের আলো। গাঁয়ে ক'দিন ধরেই বিদ্যুৎ নেই। মন্দিরে শুধু জ্বলছে একটা প্রদীপ। হঠাৎ ঝমঝম করে বৃষ্টি আরম্ভ হল। ঘিরে ধরল কচিকাঁচারা।

ঐন্দ্রী বলল, দাদু, বৃষ্টি সহজে ছাড়বে না। তাই চুপচাপ বসে না থেকে টুকটাক মুখ চালাও না।

দাদু বললেন, টুকটাক মুখ চালিয়ে কি হবে? তোরা তো সব ভীতুর ডিম! ভূতের গল্প শুনে রাত্রে ভাত খেয়ে হাত ধুতে আর কলতলায় যেতে পারিস না।

সম্রাট বলল, না-না দাদু, আমরা ভীত নই। তারপর রোগা-রোগা পেশী ফুলিয়ে বলল, এই দেখো আমি সুপারম্যান।

ঐন্দ্রীও পেশী ফুলিয়ে বলল, আমি হিম্যান।

বলাকা বলল, আমরা স্পাইডারম্যান।

লালুদাদু আকাশভাঙা বৃষ্টির অম্বুবিম্বদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোরা যখন এত ম্যানদের গল্প জানিস, তখন আমি আজ তোদের আরেক ম্যানের গল্প বলব। সেই ম্যানের নাম ছিল পিটম্যান।

দুর্গা মন্দিরের বারান্দায় সকলে একবার নড়েচড়ে বসল। লালুদাদু শুরু করলেন- কোলিয়ারি তখনও ন্যাশনালাইজ হয়নি। তখন বিভিন্ন কোলিয়ারি চলতো বাঘা বাঘা সব কোটিপতিদের দাপটে। আমি চাকরি করতাম পিটমেন কোলিয়ারিতে। পিটম্যান কোলিয়াড়ির মালিক ছিলেন রবার্ট পিটম্যান খুব ভালো মানুষ। ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় ব্রিটিশরা ইংল্যান্ড ফিরে গেলেও পিটম্যান যাননি। তিনি রয়ে গেলেন এদেশের মানুষের সঙ্গে। পিটম্যান সাহেব দয়ালু লোক হলেও তিনি ছিলেন খুব শৃঙ্খলা পরায়ণ, নীতিবাগীশ। নিয়মের বাইরে তিনি কখনো যেতেন না। কাউকে যেতেও দিতেন না। তিনি বলতেন, কানুন সবার উপরে। আই এম অলসো অল রুলস। তাঁর নিয়ম-নীতির খ্যাতি ছিল সেই অঞ্চলে। তিনি আরো বলতেন, দিস কোলিয়ারি ঠুমকো, হামকো খানা ডেটা হ্যায়। ইটস্ আওয়ার মাদার। ইসকো ইজ্জট করো য্যায়সে আপনা মাদারকো ইজ্জট করটা হ্যায়।

তিনটে সিফটে কাজ হতো কোলিয়ারিতে। ভোঁ বাজার সঙ্গে সঙ্গে আমরা খাদানের মুখে লাইন দিতাম।  ডুলিতে করে চারশো হাত নিচে, এক একবারে আট থেকে দশজন নামতাম। তিনটের সিফটের মধ্যে নাইট সিফটে আমাদের বেশি কষ্ট হত। পিটম্যান সাহেব প্রায়ই সকালের দিকে ইনস্পেকশনে বেরোতেন, হাতে থাকত একটা ছড়ি। সাহেবের ভয়ে আমরা কাজে ফাঁকি দিতে পারতাম না। কিন্তু কেউ ঘুমিয়ে পড়লে বা ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিলে সাহেব কাউকে সাধারণত কিছু বলতেন না। তাকে ডেকে হেসে বলতেন, ইয়ং ম্যান গেট রেস্ট আফটার ইয়োর ওয়ার্ক। কিন্তু একটা ব্যাপারে সাহেব খুব রেগে যেতেন। খাদানের নিচে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় জলের উৎস থাকে, সেখানে শ্রমিকরা যদি নোংরা করে আর সাহেব যদি সেটা কখনো দেখে ফেলেন। তাহলে আর নিস্তার নেই। সাহেব তাকে ছড়ি দিয়ে বেসপাট ঠ্যাঙাতেন। বাবারে-মারে বলেও পার নেই। ঠাঙানোর পর ক্লান্ত সাহেব বলতেন, ঠুমারা মাদার য্যায়সে পবিট্র হ্যায়। ইটস মাই মাদার। ইউ ব্লাডি, ঠুম ইসকো গন্দা করটা হ্যায়?

সুমের সিং তখন হাট্টাগাট্টা যুবক। আমার আগে যোগ দিয়েছে সেই কোলিয়ারিতে। তখন সে লোডার অর্থাৎ ট্রলিতে কয়লা ভরতো। আমি তখনও খাদের সব সিম অর্থাৎ গলিগুলোকে চিনি না। সুমের আমাকে সব সিমগুলোকে চিনিয়েছিল। একদিন সকালবেলা চলতে চলতে সুমের জলের একটা উৎস দেখে বলল, রায়বাবু দাঁড়ান, আমি একটু আসছি।

আমি বললাম, সুমের, সাহেব দেখলে বিপদ হবে। কি দরকার? ওপারে চলে যান। না হয় আধঘন্টা পরেই আসবেন।

-ধুর মশাই, সাহেব আসতে আসতে আমি চলে আসব। এই বলে সে নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে বাঁ দিকের একটা সিমের আড়ালে চলে গেল।

হঠাৎ দেখি, ডানপাশের সিমের আড়াল থেকে আলোর ছটা এগিয়ে আসছে। আমি ভাবলাম, হয়তো কোনো শ্রমিক মাথায় ক্যাপ ল্যাম্প নিয়ে এগিয়ে আসছে। সেও হয়তো সুমেরের সঙ্গী হবে, তাই আমি একটু পেছন ফিরে দাঁড়ালাম। পেছন থেকে কয়লার ওপর দিয়ে ভারী জুতোর আওয়াজ বাড়তে লাগল মচমচ...! কয়েক মুহূর্ত পর পেছন থেকে বাজখাঁই গলায় কে যেন ডাকল, মিস্টার রায়, হোয়াট আর ইউ ডুইং হেয়ার?

পেছনে ঘুরতেই ভুত দেখার মতো চমকে উঠলাম। দেখি, সামনে ছড়ি হাতে দাঁড়িয়ে স্বয়ং পিটম্যান। আমি কোনোরকমে ঢোক গিলে বললাম, নো স্যার, আই এম গোয়িং দেয়ার। কিন্তু ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে। সাহেব সুমেরকে দেখে ফেলেছেন। সাহেব ভয়ঙ্কর রেগে গিয়ে তাঁর হাতের ছড়ি দিয়ে সুমেরকে পেটাতে লাগলেন। সপাং-সপ...।

সাহেবের মারে সুমেরের সারা পিঠে লম্বা কালশিটে পড়ে গেল। সুমের কাতরাতে কাতরাতে কোনোরকমে উঠে দাঁড়াল। সে মিনতি করে বলতে লাগল- আর কখনো করব না স্যার। এবার ছেড়ে দিন।

সাহেব গজরাতে গজরাতে বললেন, ফির হামার মাদারকো গন্দা করিলে, আই  স্যাল কিল ইউ।

হঠাৎ একদিন খবর এল কোলিয়ারি ন্যাশনালাইজ হবে। সরকার সব কোলিয়ারির মালিকানা নিয়ে নেবে। কিছুদিন পর পিটম্যান কোলিয়ারিতে সরকারি লোকজন এল। তারা কোলিয়ারির সব হিসাব-নিকাশ বুঝে নিতে চায়। একে একে আশেপাশের সব কোলিয়ারি সরকারি হয়ে গেল। কিন্তু পিটম্যান সাহেব তার কোলিয়ারির স্বত্ত্ব কিছুতেই সরকারকে দেবেন না। নেবেন না ক্ষতিপূরণ। কিন্তু সরকার আইন করেছে, দেব না বললেই হবে! সরকার পুলিশ নিয়ে কোলিয়ারির দখল নিতে এল। সাহেবও ছাড়ার পাত্র নন, সরকারি আমলাদের সাথে লেগে গেল ঝামেলা।

পিটম্যান সাহেব বললেন, হোয়াট ন্যাশনালাইজ? আই অ্যাম ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল, আই অ্যাম ইন্ডিয়ান। ইন্ডিয়া ইজ মাই প্লেস অফ বার্থ। ইট ইজ মাই ফাদারল্যান্ড।

এক আমলা বললেন, ইউ আর ব্রিটিশ। গো ব্যাক ইংল্যান্ড।

নো, আই স্যাল নট  গো ব্যাক টু ইংল্যান্ড। আই স্যাল রিমেন ইন ইন্ডিয়া, মাই ফাদারল্যান্ড। আই লাভ ইন্ডিয়া।

আমরা তোমাদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করেছি। তুমি কি ভেবেছ, আবার আমরা আমাদের সম্পত্তি তোমাদের হাতে ছেড়ে দেব? আজ আমরা চলে যাচ্ছি, এরপর আমরা অ্যারেস্ট-ওয়ারেন্ট নিয়ে আসব, অ্যন্ড অন দ্যাট ডে উই স্যাল কিক আউট আউট অফ ইন্ডিয়া।

সাহেব হেসে বললেন, মিস্টার ব্যুরোক্রাট! অ্যা ফিউ বুরোক্রাট ইজ নট এনাফ ফর মি। থাউজ্যান্ড বুরোক্রাট হামাকে ইন্ডিয়া ঠিকে আউট করিটে পারিবে না। বিকস ইন্ডিয়া ইজ মাই ফাদারল্যান্ড। দিস কোলিযারি ইজ মাই হার্ট অফ মাই ফাদার।

সেই আমলাদের চলে যাওয়ার পর সাহেব তার চেম্বারে দরজা বন্ধ করে দিলেন। ঘন্টাখানেক পর দড়াম করে একটা গুলির আওয়াজ ভেসে এল। দরজা ভেঙে দেখা গেল রক্তাক্ত পিটম্যান সাহেব পড়ে আছেন মেঝেতে। টেবিলে এটা সুইসাইড-নোট তাতে লেখা- ''আমার মৃত্যুর পর আমাকে যেন এই কোলিয়ারির কোনো সিমে কবর দেওয়া হয়। আমি কবরে শুয়ে শুয়ে ভাবব, আমি আমার মায়ের কোলেই শুয়ে আছি।''

মৃত্যুর পর সাহেবকে সেই কোলিয়ারির এক পরিত্যক্ত সিমে কবর দেওয়া হল। হাজার সহকারি হুমকিতেও পিটম্যানকে এদেশ থেকে তাড়ানো গেল না। প্রাণ নিয়ে তিনি রয়ে গেলেন এদেশেই।

কেটে গেল অনেক বছর। আমরা এখন সরকারি লোক। ভারতবর্ষের সমস্ত কোলিয়ারি সরকারি হয়ে গেছে। আমরা আর কারো ভয়ে ত্রস্ত হয়ে থাকি না। দেশী সাহেবরা বেশি আইন ফলাতে গেলে আমরা মিটিং-মিছিল করে তাদের মুণ্ডপাত করে তাদের কালো হাত ভেঙে দিই।

সুমের ও আমার বেশ বয়স হয়েছে। প্রায় এসে গেছি রিটায়ারমেন্টের কাছে। আমরা দুজনে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন দেখি, একটা পরিত্যক্ত সিমের ধারে এক লেবার গোঙাচ্ছে। তার সারা গায়ে কালশিটে দাগ। কেউ যেন চাবুক মেরেছে! আমরা লেবারটাকে তুলে এনে হাসপাতলে ভর্তি করলাম। কিন্তু জ্ঞান ফেরার আগেই সে মারা গেল।

কোলিয়ারির সিমের ধারে বছরে এক আধটা এরকম লোক অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। তাদের সারা গায়ে দেখা যায় কালশিটে দাগ আর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে দেওয়ার পর সে মারা যায়। এই ব্যাপারটা নিয়ে কোলিয়ারিতে হইচই  শুরু হল, বসল এনকোয়ারি কমিশন কিন্তু কোনো রিপোর্ট বেরলো না। কিছুদিন পর ব্যাপারটা ধামাচামা পড়ে গেল।

সেদিন আমার ও সুমেরের নাইট ডিউটি পড়ল। সিফট পরিবর্তন হতে আরো ঘন্টাখানেক বাকি। সুমের বলল, রায়দা আরো ঘন্টাখানেক বাকি, ওপরে উঠে আর নামতে পারব না। পাঁচ নম্বর সিমের কাজ বন্ধ আছে। চলুন ওদিক থেকে একটু ঘুরে আসি, শরীরটা কেমন যেন করছে।

সুমের ও আমি হাঁটতে হাঁটতে গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে মাথায় ক্যাপ ল্যাম্প জ্বালিয়ে চলে গেলাম পাঁচ নম্বর সিমের দিকে। আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। সুমের একটু আড়ালে চলে গেল। পাঁচ নম্বর সিমের সামনে দুই নম্বর সিম। এই সিমটা পরিত্যক্ত, কয়লা সব তুলে নেওয়া হয়েছে। সেদিক থেকে হঠাৎ একটা উজ্জ্বল আলো ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে লাগল আমার দিকে! আমি তাকিয়ে রইলাম সেদিকে। আশ্চর্য! দু'নম্বর সিম তো পরিত্যক্ত, ওদিকে কারোর যাওয়ার কথা নয়! ওদিকে যাওয়া মানে আত্মহত্যা করতে যাওয়া, যেকোনো সময় ধস নামতে পারে। একবার ধস নামলে বাঁচার কোনো সম্ভাবনা নেই! কে লোকটা? আসুক, ওকে আমি 'শো-কজ' নোটিশ ধরাব।

কেটে গেল কয়েক মুহূর্ত। আলোটা কাছে আসতে লাগল। কয়লার ওপর দিয়ে ভারী জুতো পড়ে আসার আওয়াজত ক্রমশ বাড়তে লাগল মচ্-মচ্! আলোর মাঝে দেখা গেল অস্পষ্ট একটা ছায়ামূর্তি! ঠিক বোঝা যাচ্ছে না লোকটা কে? আমি হেলমেট থেকে ল্যাম্পটা খুলে হাতে নিয়ে আলোটা সরাসরি ফেললাম সেই ছায়ামূর্তির গায়ে। ছায়ামূর্তিটা আরো কাছে আসতেই আমার হাড় হিম হয়ে গেল! আমার সামনে দাঁড়িয়ে স্বয়ং পিটম্যান! হাতে সেই ছড়িটা। ত্রিশ বছরে বয়স একটুও বাড়েনি। সেই লম্বা পেটানো চেহারা, বড়ো বড়ো নীল চোখ, আজানুলম্বিত বাহু।

হঠাৎ পিচম্যান ঘুরে দাঁড়ালেন পাঁচ নম্বর সিমের দিকে। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে সুমেরকে সেই অবস্থায় দেখে পিটম্যান তখন বজ্রগম্ভীর গলায় বললেন, এগেইন ইউ সুমের? হাম তুমকো বোলাঠা, কলিয়ারি ইজ মাই মাদার, ইসকো গন্দা করিবে না, ইসকো ইজ্জট করিবে, বাট এগেইন…? টুডে আই স্যাল কিল ইউ।

এই বলে পিটম্যান, সুমেরকে আগের মতোই তার ছড়ি দিয়ে পেটাতে লাগলেন। সপাং-সপাং...। যন্ত্রণায় সুমের কাতরাতে লাগল, কিন্তু সে পালাতে পারলো না। পিটম্যান থামলেন না। তার হাতের ছড়ি চলতে লাগল বিনা বাধায় সপাং-সপ...।

আমি ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে লাগলাম। কাঁপতে কাঁপতে একবার ভাবলাম দৌড় লাগাই কিন্তু কোথায় পালাব! পালাবার শক্তি আমার নেই। পা দুটোকে যেন মাটিতে কেউ পুঁতে দিয়েছে! গলার জোরে চিৎকার করতে গেলাম, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বেরিয়ে এল না। দরদর করে ঘামতে লাগল সারা শরীর।

একসময় সুমের লুটিয়ে পড়ল। শুরু হল ওর গোঙানি। পিটম্যান এবার ছড়ি সংবরণ করে ফিরে গেলেন পূর্বের পথ ধরে। শুধু যাওয়ার আগে আমাকে বললেন, টিশ সাল বাদ সেম থিং! ঠুমারা ফ্রেন্ড কো ঠুম মানা করিলে না কেন? ইয়ে হামারা কোলিয়ারি হ্যায়, দিস ইজ মাই ইন্ডিয়া। ইস কো হাম গন্দা করিটে দিবে না। আই অ্যাম রবার্ট পিটম্যান। এই বলে ছড়ির একটা ঘা মারলেন আমার পিঠে। আমি যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠলাম।

তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। যখন জ্ঞান ফিরল, দেখলাম হাসপাতালে শুয়ে আছি। পাশের বেডে আরও একজন শুয়ে আছে, তার শরীরটা সাদা কাপড়ে ঢাকা। সাদা কাপড়টা সরিয়ে দেখলাম, সুমেরের নিথর দেহ! তার সারা গায়ে কালশিটে দাগ, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আছে।

এবার সকলে সামনের পিঠের ফতুয়া তুলে কালশিটে দাগটা দেখিয়ে লালুদাদু বললেন, দ্যাখ, এত বছর পরেও পিট সাহেবের সেই দাগটা যায়নি!

 

অলংকরণ- অমর লাহা

প্রকাশিত- চিরকালের ছেলেবেলা। মার্চ ২০১৪

Topic : The creepy ghost story, Charsho Hat Niche - Samiran Mukherjee - Ghost story, ভূতের গল্প, গা ছমছমে ভূতের গল্প

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ