Ticker

20/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

স্বপ্নের বাগানবাড়িতে পিকনিক ।। মধুমিতা ঘোষ



রাঙাদাদুর আসা মানেই হইচই আনন্দ। ঠাকুরমা থেকে সদ্য ইস্কুলে ভর্তি হওয়া রাজ সবাই-ই রাঙাদাদুকে ঘিরে বসি। শুনেছি দাদু জজাতি সম্পর্কে রাঙাদাদুর ভাই হয়। বিয়ে করেনি। চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে। রাঙাদাদু এবার যখন এলেন তখন আমাদের ক্রিস্টমাসের ছুটি। আমরা যত ভাই-বোন আছি, প্রত্যেকেই রাঙাদাদুকে পেয়ে হই-হই করে উঠলাম। ধরে বসলাম এই শীতের ছুটিতে কোথাও না কোথাও পিকনিকে নিয়ে যেতেই হবে।

প্রস্তাব শুনে রাঙাদাদু বলল, এ আর এমন কি কথা! ঠিক আছে একটা ফ্যামিলি পিকনিকের অ্যারেঞ্জ করে ফেলছি। দেখ না এই ঢাকুরিয়ার বাঁড়ুজ্জেবাড়ি থেকে এমন পিকনিক পার্টি যাবে যে, সবার চোখ ট্যারা হয়ে যাবে।

পরেরদিনই রাঙাদাদু একগাদা টেলিফোন নম্বর নিয়ে সবাইকে ফোন করতে বসল। গড়িয়া বৈষ্ণবঘাটায় থাকে মেঝদাদু। বাগনানে ছোটকাকু, দমদমে বড়পিসি, মৌরিগ্রামে ছোটপিসি, সল্টলেকে দিদি-জামাইবাবু। প্রত্যেককেই রাঙাদাদু পিকনিকে যাবার জন্য রাজি করালেন।

হিসেব করে দেখা হয়েছে সংখ্যায় প্রায় ৪০জন হচ্ছে। ঘরোয়া পিকনিক যখন, তখন বাইরে থেকে ভাড়া করা ঠাকুর নেওয়া হবে না। কিশোরীদা আর ঝর্ণা মাসি যাবে। মোটকথা বেশ জমজমাট ব্যাপার-স্যাপার হবে।

রাঙাদাদু এখন পিকনিক স্পট সিলেকশন নিয়ে খুব ব্যস্ত। একদিন বলল, যাক বাবা যেমনটি চেয়েছিলাম ঠিক সেইরকম জায়গারই সন্ধান পেয়েছি। সবাই কৌতূহলে জিজ্ঞাসা করল, কোথায় ? মুচকি হেসে রাঙাদাদু বলল, মল্লিকপুর-বারুইপুর লাইনে গোবিন্দপুর বলে একটা জায়গা আছে, সেখানের এক বাগানবাড়ির সন্ধান পেয়েছি। কেয়ারটেকারকে খবর পাঠানো হয়ে গেছে। আর জায়গাটা ঢাকুরিয়া থেকে খুব একটা দূরেও হবে না।

ঠিক হল বাস ছাড়বে পাক্কা সাড়ে সাতটায়। ওখানে গিয়েই টিফিন হবে।

জ্যেঠু বলল, তা কে তোমাকে বাগান বাড়ির খোঁজটা দিল ? রাঙাদাদু চোখ নাচিয়ে হেসে বলল, ক্রমশ প্রকাশ্য। তবে জায়গাটার যা বর্ণনা শুনে এলাম না! বিরাট বাগানবাড়ি, সামনে নানা সবজির ক্ষেত। এখন তো বেগুন, কড়াইশুঁটি, টমেটো, মূলো, বড়ো বড়ো ফুলকপি, যা ফলে আছে না! এক্কেবারে ফ্রেস! দিঘির মতো পুকুর আর সে পুকুরে এত মাছ যে, গামছা দিয়েও ছেঁকে তোলা যাবে। আর প্রচুর নারকেল গাছ। জলের বদলে ডাব খাওয়াও যেতে পারে।

আমরা ভাই-বোনের দল সবকিছু শুনে আনন্দে হই-হই করছি। গোগোল তো বলেই ফেলল, বাব্বা রাঙাদাদু, এতো স্বপ্নের বাগানবাড়ি!

১লা জানুয়ারি কবে আসবে আর স্বপ্নের বাগানবাড়িতে গিয়ে আমরা কি করব, এই নিয়ে আনন্দে-উত্তেজনায় আমাদের দিনরাতের ঘুম প্রায় উধাও। রাঙাদাদু বলেছেন, শুধু চায়ের সরঞ্জাম, চাল-ডাল, মশলাপাতি আর মুড়ির প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হবে।

রাঙাদাদুর মতে ওই জ্যাম পাঁউরুটি বা কেক-ডিম কলা অথবা লুচি তরকারি তো, সব পিকনিকেরই কমন মেনু। আমাদের সবকিছুই নতুন ধরণের হবে। ওখানকার গাছের টাটকা তোলা বেগুন দিয়ে গরম গরম ল-ম-বা-আ- বেগুনি হবে। গাছ থেকে কড়াইশুঁটি তুলে আর নারকেল দিয়ে মুড়ি মাখা হবে। আঃ যা জমবে না!

মুনিয়া ভয়ে ভয়ে বলল, আচ্ছা রাঙাদাদু ওদের ক্ষেত থেকে সবজি তুললে বকবে না কেউ ?

রাঙাদাদু মুনিয়ার চুলটা এলোমেলো করে দিতে দিতে বলল, দূর বোকা, যাদের বাগানবাড়ি তাদেরই তো ক্ষেত। দেখবি কেয়ারটেকার কেমন খাতির যত্ন করে। আমাদের দুপুরের মেনু কি হবে জানিস ?

আমরা জিজ্ঞাসু চোখে তাকালে রাঙাদাদু হাত নেড়ে নেড়ে বলল, ভাত, ডাল, ফুলকপির বড়া, টাটকা মাছ ভাজা আর দিশি মুরগির মাংস। মুরগি নাকি ওখানে বেশ সস্তাতেই পাওয়া যায়। আর হাঁসের ডিম বা দেশি মুরগির ডিম যদি মেনুতে রাখতে চাস তো রাখতে পারিস। ওখানে সবার বাড়িতেই হাঁস-মুরগি আছে। তাই ঘরে ঘরে ডিম বিক্রির খদ্দের পায় না ওরা।

আমাদের ছোট কাকু আর পিসেমশাইয়ের আবার খুব মাছ ধরার শখ। অত বড়ো পুকুর আছে শুনে তারা তো আগের দিন রাতে ছিপ, কয়েকরকমের বঁড়শি, পিঁপড়ের ডিম, মাছ ধরার মশলা সব জোগাড় করে নিয়ে এসে হাজির। এমনকি বাগানবাড়ির বর্ণনা শুনে জামাইবাবুর মুম্বাইবাসী ভাই আর ভাইয়ের বউও এসে হাজির। আগের দিন রাতেই বাড়ি সরগরম।

১লা জানুয়ারি ভোরবেলায় আমরা অন্যান্য দিনের মতো কোনো বায়না না করে ঝটপট তৈরি হয়ে নিলাম। বাসের মধ্যেই হই-চই, চেঁচামেচি, হাসি-ঠাট্টায় মনে হচ্ছিল যেন পিকনিকের আসর বসে গেছে। আমরা তো খেলার জন্য ফাঁকা মাঠ পাব বলে সঙ্গে ব্যাট-বল ডিস্কো নিয়ে নিয়েছি।

রাঙাদাদু বলেছিল যে, ঢাকুরিয়া থেকে গোবিন্দপুর যেতে বড়জোর ঘন্টাখানেক লাগবে। কিন্তু প্রায় দেড় ঘন্টা হয়ে গেল এখনো আমাদের সেই স্বপ্নের বাগানবাড়িতে পৌঁছাতে পারলাম না। বাস থামিয়ে রাঙাদাদু যাকেই ঠিকানা লেখা কাগজটা দেখান সে-ই সামনের দিকে যেতে ইশারা করে। এখন বড়ো রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা ধরা হয়েছে। দুপাশে খানা, রাস্তা এবড়ো-খেবড়ো। রীতিমত নাচতে-নাচতে এ-ওর গায়ে ঠোকা খেতে-খেতে যাচ্ছি। মাঝে-মাঝে বড়ো গাছের ডালপালাগুলো জানলা দিয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে।

বাস ড্রাইভার তো রেগে গিয়ে গজগজ করতে-করতে বলছে জিন্দেগীতে এ রাস্তা দিয়ে বাস যায়নি। একবার চাকা স্লিপ করলেই হয়েছে আর কি! এভাবে কিছুটা চলার পর সামনে আরো সরু মাটির রাস্তা। বাসটা গোঁ-গোঁ করে থেমে গেল।

আমরা তো হই-হই করে বাস থেকে নেমে পড়লাম। কিন্তু এবার কাকে জিজ্ঞাসা করে জানব আমাদের স্বপ্নের বাগানবাড়ির ঠিকানা! এদিকে সবাই তো রাঙাদাদুকে জিজ্ঞাসা করছে। রাঙাদাদু অসহায়ের মতো এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন। হঠাৎ দেখা গেল ক্ষেতের কোণের দিকে দুটো লোক কোদাল দিয়ে মাটি কোপাচ্ছে। সেই মুহূর্তে ওরা দুজন যেন আমাদের সবার কাছে ঈশ্বর প্রেরিত দূত। যাই হোক ওদের জিজ্ঞাসা করে জানা গেল এই মাটির রাস্তা ধরে আরো খানিকটা হেঁটে গেলেই আমরা আমাদের স্বপ্নের বাগানবাড়িতে পৌঁছে যাব।

প্রত্যেকেই তখন ধৈর্য্যের শেষ সীমানায়, কারণ সকাল থেকে এতটা বেলা পর্যন্ত কেউ টিফিন খায়নি। আমরা ছোটোরা যদিও আমাদের স্বপ্নের বাগানবাড়ির খুব কাছাকাছি এসে গেছি বলে তখনও উৎসাহে টগবগ করছি, কিন্তু মুশকিল হল চাল, ডাল, মশলাপাতির বস্তা, বাসন-কোসন কিভাবে নিয়ে যাওয়া হবে। রাঙাদাদুকে সবাই চেপে ধরল, উনি মাথার বড়ো বড়ো চুলগুলোয় হাত চালাতে-চালাতে বললেন, দাঁড়াও ভাবতে দাও। একটা উপায় তো বার করতেই হবে। তারপর ওই লোক দুটো যাদের নাম শ্যামাপদ আর পঞ্চানন, ওদের বললেন, ভাই গ্রামে তো ভ্যান-রিক্সা পাওয়া যায়। জোগাড় করতে পারবে! ওরা হাত উল্টে জানাল, এখন সব ভাড়া খাটতে বেরিয়ে গেছে।

যাইহোক ওদেরই বকশিশ দেবার লোভ দেখিয়ে জিনিসপত্র বইতে বলল। তাছাড়া ওরাই তো আমাদের গাইড এখন। ছোটো থেকে বড়ো সবার হাতেই নানারকম জিনিসপত্র। কারো হাতে বড়ো খুন্তি তো কারো হাতে জলের জগ, শতরঞ্চি আরো কত কী। ধুলোর ওপর দিয়ে হাঁটছি। এই শীতের মধ্যেও ঘেমে-নেয়ে প্রায় আধ মাইল হাঁটার পর ওরা দেখাল, ওই দেখুন আপনারা যে বাড়িটার কথা বলতেছেন, সেই বাড়ি। বাড়িটা দেখে আমরা সবাই এ-ওর মুখ চাওয়া-চায়ি করছি। মনে তখনো আশা, বুঝিবা ভুল জায়গা দেখাচ্ছে।

দুটো ঘরের ছোটো ছোটো একতলা পুরনো বাড়ি। বহুকাল মানুষজন ঢোকে না, চারিদিকে আগাছায় ভর্তি। কেয়ারটেকার তো দূরের কথা ধারে-কাছে কুকুর-বিড়াল পর্যন্ত নেই।

চারিদিকে ধান কেটে নেওয়া ধু-ধু মাঠ। একটা বড়ো তেঁতুল গাছ ছাড়া আর কোনো গাছও নেই। কয়েকটা ছড়ানো-ছিটানো তাল আর নারকেল গাছ আছে বটে তবে সে দিকে তাকানোর কারো ইচ্ছে নেই। আমরা তো সমস্তরকম উৎসাহ হারিয়ে মাঠের উপরেই বসে পড়লাম। পিসেমশাই একেই সৌখিন মানুষ। তারওপর ছিপ-টিপ নিয়ে এসে ভেবেছিলেন বুঝি আজ সবাইকে তার হাতের কেরামতিটা দেখিয়ে দেবেন, বিশেষ করে ছোটদাদুকে। কিন্তু কোথায় কি!

তাই সবাই যখন বাগানবাড়ির দুর্দশা দেখে হা-হুতাশ করছে তখন পিসেমশাই রেগেমেগে বলল, চল চা খেয়েই ফিরে যাই। ভাগ্যিস চা-টা গাছ থেকে তোলার ব্যাপার ছিল না, তাহলে আর সেটাও জুটত না। কিশোরীদা চটপট তেঁতুল গাছের নিচে স্টোভ ধরিয়ে সঙ্গে আনা জল দিয়ে চা বসিয়ে ফেলল। সঙ্গে শুকনো মুড়িই হল সবার জলখাবার।

জেঠিমা বলল, তা ভাগ্যি ভালো যে রাঙাকাকাকে কেউ বলেনি, ওখানে তো ঘরে -ঘরে মুড়ি ভাঁজে। সঙ্গে মুড়ি নেওয়ার আর কোনো দরকার নেই। তাহলে কপালে চায়ের সঙ্গে এই শুকনো মুড়িও জুটত না।

বাবা বলল, লোকে কথায় বলে না- ধ্যাড়ধ্যাড়ে গোবিন্দপুর। এতো আক্ষরিক অর্থে দেখছি তাই। কিছুই তো পাওয়া যায় না এখানে।

শ্যামাপদ আর পঞ্চাননের মুখ থেকে জানা গেল, বহু বছর আগে গ্রামে মুখুজ্জেবাবুদের এই জায়গাটা ছিল। তা চাকরি-বাকরি, পড়াশুনোর কারণে ওরা কলকাতায় চলে যায়। কিন্তু ক্ষেতের ফসল সব চুরি যেত বলে এই বাড়িটা তৈরি করে। ফসল তোলার সময় লোকজন আসত। ঘর দুটোয় ধানের বস্তা থাকত। তারপর চাষ ভাগে দিয়ে দেয় ওঁরা। সেই থেকে বাড়িটা আর মেরামত হয়নি। এভাবেই পোড়ো হয়ে আছে।

আমরা তো আমাদের স্বপ্নের বাগানবাড়ির নেপথ্য কাহিনী শুনে যাকে বলে হতবাক। দাদু, মেজদাদু, সেজদাদু এবার সবাই মিলে রাঙাদাদুকে জিজ্ঞেস করল, এবার বল তো তুমি এই বাগানবাড়ির খোঁজটা কোথা থেকে পেলে ?

রাঙাদাদু মাথা চুলকে বলল, আসলে পিকনিকের জন্য নতুন জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। একে-তাকে বেশ কয়েকজনকে বলেও রেখেছিলাম। তা কদিন আগে নেপোদা মানে ভট্টাচার্য বাড়ির ছেলে নেপালদার সঙ্গে ভুলোর চায়ের দোকানে দেখা হল। একথা-সেকথায় ফ্যামিলি পিকনিকের জন্য ভালো জায়গা খুঁজছি শুনে বলল, ওর নিজের মামার বাগানবাড়ি আছে গোবিন্দপুরে। কোনো অসুবিধা হবে না। দিঘির মতো পুকুর, পুকুর ভর্তি মাছ, ক্ষেত ভরা সবজি, ছিমছাম পরিষ্কার বাগানবাড়ি, কেয়ারটেকার ঘর দেখাশোনা করে এরকম আরো কত কি বলল। এমনকি এও বলল, পরেরদিন নেপোদা কেয়ারটেকারকে ফোন করে দেবে যাতে ঘরদোর সব রেডি করে রাখে। এইতো গতকালই সন্ধেতে নেপোদার সঙ্গে দেখা করে জিজ্ঞাসা করলাম। বলল, সব ঠিক আছে। তখনই তো ঠিকানা লেখা ওই কাগজটা দিয়ে বলেছিল- খুব সহজ রাস্তা, যাকেই দেখাবে সে-ই চিনিয়ে দেবে।

সবাই হৈ-হৈ করে উঠে বলল, হে ভগবান, ওই বিশ্ব গুলবাজ-এর পাল্লায় তুমি পড়েছিলে! ইস-স একবার যদি ওর নামটা বলতে তাহলে আর আজকে এই বছরের প্রথম দিনে এভাবে ঠকতে হত না। আমাদের সামনে এসব বলতে সাহস পায় না। জানেই তো তুমি এখানে থাকো না, সাদা-সিধে মানুষ, তাই এরকম বোকা বানাল।

রাঙাদাদুর চোখ কপালে তুলে বলল, নেপোদা গুলবাজ!

দাদু বলল, তা নয়তো কি! একবার তো ব্যাটা পাড়ার ছেলেদের কাছে বেদম পিটুনি খেয়েছিল। কিন্তু তবুও বলে না- স্বভাব যায় না মলে। নিশ্চয়ই ঠিকানাটা দিয়ে বলেছিল, খবরদার কাউকে আগে থেকে কিছু বলবি না, কোথা থেকে বাগানবাড়ির খোঁজ পেয়েছিস। এক্কেবারে সারপ্রাইজ দিবি। কি এরকম কথা বলেনি ?

রাঙাদাদু ঘাড় নেড়ে বলল, হ্যাঁ, ঠিক তাই। আমি তো গতকাল সকালেও কত করে আমাদের সঙ্গে পিকনিকে আসতে বললাম। কিন্তু বলল, শান্তিনিকেতনে বেড়াতে যাচ্ছে বলে আসতে পারবে না।

তারপর আমাদের পিকনিক কেমন হয়েছিল তা না বলাই ভালো। কিভাবে যে খাবার জল বা রান্নার ব্যবস্থা হয়েছিল তা বলতে গেলে ইতিহাস হয়ে যাবে। তবে খিদের মুখে আমরা যখন পাঁপড় ভাজা দিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল, আহা খিচুড়ির এমন স্বাদ বোধহয় অমৃতকেও হার মানায়।

 

অলংকরণ- অমর লাহা

প্রকাশিত- চিরকালের ছেলেবেলা । শরৎ ১৪১৮


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ