Ticker

20/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ছাতা নিয়ে কত কথা ।। তরুণ রায়চোধুরী

হঠাৎ বৃষ্টি এল ঝমঝমিয়ে। আমরা তখন গ্যাংটকের ম্যালে। মুহূর্তের মধ্যে বদলে গেল পরিবেশ। রাস্তায় ছাতা মাথায় কিছু লোকের আনাগোনা। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে আমরা দাঁড়ালাম একটা বন্ধ দোকানের শেডের নিচে। আমাদের ছাতা হোটেলে। সুতরাং অপেক্ষা। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির ছবি তুলতে থাকি। অনুভব করি- শীতের কাঁথার মতো বর্ষায় ছাতা কত জরুরী।

বিভিন্ন দেশের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায় ছাতা ব্যবহারের অভ্যাসটি মানুষের বহু বছরের পুরোনো। তবে প্রথম দিকে সেটি ছিল শুধুমাত্র সূর্য্যের প্রচণ্ড তাপ থেকে শরীরকে রক্ষা করার জন্য। ছাতা ব্যবহার করতেন সমাজের উচ্চ শ্রেণির মানুষেরা। ভৃত্যরা রাজাদের মাথায় ছাতা ধরে থাকত। পারস্য সম্রাট দারিউস তার রথে ছাতা ব্যবহার করতেন। চীনের কুইন প্রদেশের রাজা শি হুয়াং-এর সমাধিস্থলে দেখা গেছে একটি ছাতা লাগানো ঘোড়ায় টানা রথ। রামায়ণ, মহাভারতের যুগে রাজাদের রথেও ছাতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ছাতা রাজাকে নানা অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করে। দুঃখ কষ্টকে কাছে ঘেঁষতে দেয়না। কামনা বাসনা দুরে সরিয়ে রাখে। ছত্রছায়ায় রাজা হন মহাপরাক্রমশালী এবং একই সঙ্গে পান অনেক সম্মান। পুরানের গল্পে যক্ষরাজ কুবেরের মাথায় ছাতা ধরার উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতায় ডাইনোসিয়াসের পুজোতে ছাতার বিশেষ ভূমিকা ছিল।

গ্রীক নাট্যকার এরিস্টোফেনসের একটি নাটক- দ্য বার্ডস। সে নাটকের একটি বিখ্যাত চরিত্রের নাম প্রমিথিউস। একটি দৃশ্যে আছে প্রমিথিউসের মুখে স্বর্গের কোনো ঘটনার বর্ণনা। শ্রোতা আর একটি চরিত্র পিসটেথেরাস। হঠাৎ প্রমিথিউসের উক্তি পিসটেথেরাসের উদ্দেশ্যে- ছাতা দিয়ে আমাকে আড়াল করে রাখো। জিউস যাতে আমাকে দেখতে না পায়। নাটকটি লেখা হয়েছিল ৩৮৬ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দেরও আগে।

ল্যাটিন শব্দ umbra যার অর্থ shade বা ছায়া। ছাদের মতো ছায়া সৃষ্টি করে তাই umbra থেকে ধীরে ধীরে ছাতার ইংরেজি নাম হল umbrellaসঙ্গে নিয়ে ঘোরা যায় বলে ছাতাকে পোর্টেবল ছাদও বলা হয়। umbrella-র সাহায্যে রোদ জল দুটোই আটকানো যায়। শুরুতে শুধু রোদ ঠেকানো যেত বলে ছাতার ইংরেজি নাম ছিল parasolparasol-এর umbrella হতে সময় লেগেছিল অনেক অনেক বছর।

গাছ ছায়া দেয়। গাছের সঙ্গে ছাতার অনেক মিল। ছাতার দণ্ডটি (shaft) যদি হয় গাছের কাণ্ড (stem), তবে সেটির canopy বা ছায়া দেবার অংশটিকে বলা যায় ডালপালা সহ পাতার একটি আবরণ। কলা গাছের মধ্যে অনেকে ছাতার অদ্ভুত মিল খুঁজে পান। কেউ কেউ আবার canopy-কে আকাশের সঙ্গে তুলনা করেন। সেক্ষেত্রে ছাতার দণ্ডকে ভাবতে হবে অনেক উঁচু এক পাহাড় চূড়া। মিশরীয়দের বিশ্বাস মাতৃদেবতা নুট নিজের শরীর দিয়ে ছাতার মতো তাদের আগলে রাখেন।

মিশরের প্রাচীন ছাতার নাম ছিল ফ্ল্যাজেলাম। পাম গাছের পাতা লাঠির আগায় বেঁধে তৈরি করা হত সেই ছাতা। ছাতাটি দিয়ে হাওয়া করা যেত। এরিস্টোফেনসের সময় গ্রীসের এমন একটি ছাতা ছিল যেটিকে খোলা এবং বন্ধ দুটোই করা যেত। প্রথম প্রথম এথেন্সে শুধু মেয়েরাই ছাতা ব্যবহার করত। আর গ্রীক পুরষেরা ছাতাকে মেয়েলি জিনিস ভেবে এড়িয়ে চলত।

ছাতা নিয়ে আছে এক মজার দেশের গল্প। সে দেশের লোকেরা আমাদের মতো হাঁটতে পারত না। তার চলত  লাফিয়ে লাফিয়ে। কারণ তাদের ছিল একটি মাত্র পা। যেমন লম্বা, তেমনই চওড়া। কিছুক্ষণ লাফানোর পরই তারা মাথায় ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ত। সে সময় তাদের পা শূন্যে ছাতা হয়ে ঝুলত। অদ্ভুত সেই মানুষদের বলা হত umbrellapods

ছাতার ইতিহাসে লু বান-এর অবদান বিশেষভাবে উলে­খযোগ্য। তিনি ছিলেন চিন দেশের একজন বিখ্যাত কাঠের কারিগর। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বাচ্চাদের পদ্মপাতা মাথায় দিতে দেখে তিনি বানিয়ে ফেললেন দারুণ একটি ছাতা। লাঠির অগ্রভাগে নিঁখুত ভাবে একটি shade বসাতেই কাজ সারা। ছাতার shade বা canopy একই জিনিস। তারপর থেকে চিন দেশে ছাতা তৈরি শুরু হল। ছাতার shade তৈরি হত বাঁশ-কাঠের frame-এর উপর কাপড় অথবা তুলোট কাগজ এঁটে। আর জল আটকানোর ব্যবস্থা ছিল নানা রকম কারুকার্যের শেষে, shade-এ ব্যবহৃত কাপড় বা তুলোট কাগজে তেল, বার্নিশ কিংবা মোম লাগিয়ে। ধীরে ধীরে গড়ে উঠল মানুষের জীবনের সঙ্গে ছাতার এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক।

চিন দেশে রাজা থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই ছাতা ব্যবহার করত। রাজাদের জমকালো ছাতায় দেখা যেত একাধিক shade বা ছাদের সমারোহ। লাল-হলুদ রঙ ছিল রাজাদের খুব প্রিয়। রঙের বৈচিত্র এবং হাতের কাজের সমন্বয়ে ছাতা হয়ে উঠল সমৃদ্ধ। অলিভার স্টোন নির্দেশিত আলেকজাণ্ডার ছবিতে সুন্দর একটি ছাতা ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ছাদের সংখ্যা তিন।

বিয়ের সম্পর্ক গড়তে ছাতা ব্যবহারের কথা শোনা যায় চিন দেশে। ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাব যেত মেয়ের বাড়িতে। সেই সঙ্গে পাঠানো হত একটা লাল টুকটুকে ছাতা। প্রস্তাবে সম্মত থাকলে মেয়ের বাড়িতে ছাতাটি এমনভাবে টাঙানো হত যাতে সেটি অনেক দুর থেকে দেখা যায়। ছাতাটির সঙ্গে যোগ করা হত আরো অনেক কিছু। দু-বাড়িতেই শুরু হয়ে যেত বিয়ের তোড়জোড়। সে এক দারুণ আনন্দের ব্যাপার।

হাক্কা উপজাতিদের মহা-আন্ত্যেষ্টিতে ব্যবহৃত জিনিসগুলির মধ্যে ছাতা ছিল প্রধান। বিশেষ এই অস্থি সংগ্রহ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হত প্রিয়জনের মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর বাদে। ছাতার নিচে চলত অস্থি সংগ্রহ এবং শোধন। তারপর আবার সেগুলো সমাহিত করা হত পূর্ণ মর্যাদার সাথে।

চিন থেকে ছাতা এল জাপানে। বাঁশ আর কাগজে তৈরি জাপানের ঐতিহ্যবাহী ছাতার নাম ওয়াগাসা। ছাতা তৈরির পদ্ধতিও বেশ জটিল। একটি ওয়াগাসা তৈরি করতে তাই সময় লেগে যায় বেশ কয়েক মাস। কাসা ওদোরি নাচে কিমোনো পরা জাপানি মেয়েদের হাতে দেখা যায় রঙ বেরঙের ছাতা। সুন্দর এই নাচটি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।

ডিউক অফ অর্লিয়েন্সের স্ত্রীর হাত ধরে ফ্রান্সে ছাতার প্রবেশ। রোদ বৃষ্টিতে ছাতা যে কত উপকারি সেটা বুঝতে ফ্রান্সবাসীদের খুব দেরি হয়নি। ইংল্যান্ডে ব্যাপারটা ছিল উল্টো। দ্বিতীয় চার্লসের বিয়ের পর সেদেশে ছাতার প্রচলন ঘটে। তবে সেটা ছিল মেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। রাস্তায় ছাতা হাতে কোনো পুরুষকে দেখা যেত না।

১৭৫০ সালে সবাইকে অবাক করে ছাতা মাথায় দিয়ে লন্ডনের রাস্তায় ঘুরতে শুরু করলেন জোনাস হ্যানওয়ে। কি গ্রীষ্ম কি বর্ষা, হ্যানওয়ের হাতে সব সময় ছাতা। রোদ বৃষ্টি এড়াতে অন্যান্য ভদ্রলোকদের মতো হ্যানওয়েকে ভাড়া গাড়িতে উঠতে হত না। ব্যাপার দেখে কোচম্যানদের চক্ষু চড়কগাছ। সবাই যদি হ্যানওয়ের মতো ছাতা ব্যবহার করতে শুরু করে তাহলে তাদের গাড়ির ব্যবসা যে লাটে উঠবে। তাই ছাতা হাতে হ্যানওয়েকে দেখলেই শুরু হত তাদের ঠাট্টা তামাসা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বেশ কিছুদিন পরে ছাতার নামই হয়ে গেল হ্যানওয়ে। আরো অনেক বছর বাদে ১৭৭৮ সালে ইংল্যান্ডের উলে­খযোগ্য পুরুষ ছাতা ব্যবহারকারীদের নামের তালিকায় যুক্ত হল জন ম্যাকডোনাল্ডের নাম। কোচম্যানদের বিদ্রুপ তাকেও কম সহ্য করতে হয়নি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ছাতার প্রতি ইংরেজ পুরুষদের অনুরাগ।

১৭৮৬ সালে ছাতার প্রথম পেটেন্ট পান জন বিয়েল। তার ছাতার canopy ছিল গোল এবং শঙ্কু আকৃতির। canopy-frame তৈরি হত লাঠির সঙ্গে আটকানো অনেকগুলি rib-এর সাহায্যে। প্রথমদিকে ছাতার ওজন খুব বেশি হত। কারণ ছাতার frame-টি তখন তৈরি হত শক্ত কাঠ আর তিমি মাছের হাড় দিয়ে। পরবর্তীকালে ছাতার frame-stell rib ব্যবহার করেন হেনরি হল্যাণ্ড। এরপর ভৎধসব-টিতে নতুন মাত্রা যোগ করেন স্যামুয়েল ফক্স-ইংরেজি U আকৃতির paragon steel rib-এর মাধ্যমে।

১৯৩০ সালে বাজারে এলো কালো রঙের পুরুষদের ছাতা। সেই ছাতার হাতলটি ছিল অনেকটা ইংরেজি J অক্ষরের মতো যার পোশাকি নাম crook handleছাতার হাতলের ব্যবহারও বড়ো অদ্ভুত। প্রয়োজনে সেটিতে পেন্সিল, ছুরির মতো দরকারি জিনিস রাখার ব্যবস্থা করা যায়। আবার কখনো সেটিকে ফ্লাক্সের মতো ব্যবহারও করা যায়। ওয়াটারলু যুদ্ধের নায়ক ওয়েলিংটনের ছাতার হাতলে লুকানো থাকত একটা ভোজালি।

বাসে ট্রামে বড়ো ছাতা নিয়ে চলাফেরা করা বেশ সমস্যাজনক। সুতরাং ছাতাকে যাতে ভাঁজ করা যায় তার ব্যবস্থা করা হল। এলো ফোল্ডিং ছাতা। ভাঁজ করার সুবিধার জন্য ফোল্ডিং ছাতার rib-গুলি এবং দণ্ডটি(shaft) একাধিক অংশে বিভক্ত। দণ্ডটির অংশগুলি একটি অন্যটির মধ্যে টেলিস্কোপের মতো সহজেই ঢুকে যায়। ছাতার দণ্ডে স্প্রিং-এর ব্যবহার আরো বেশি মজাদার। সুইচ টিপলেই ছাতাটি নিজে নিজে খুলে যায়। অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহারে ছাতা এখন অনেক হালকা। দিন আর আগরে মতো নেই। একটা সময় এলো যখন ছাতা ছাড়া কোনো ইংরেজ ভদ্রলোককেই দেখা যেত না।

রোমান ক্যাথলিকদের কাছে ছাতা পোপের একচ্ছত্র ক্ষমতার প্রতীক। পোপ কোনো গীর্জায় এলে তার সম্মানে যে ছাতাটি খোলা হয় সেটির নাম ombrellinoছাতাটির canopy তৈরি হয় লাল এবং সোনালি কাপড়ের টুকরো একটার পর অন্য একটা জুড়ে। বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার অনুষ্ঠানে দুরকম ছাতা ব্যবহার করা হয়। একটি ময়ূর ছাতা। আর অন্যটি সিল্কের। বৌদ্ধদের কাছে ছাতার canopy হল জ্ঞানের প্রতীক। canopy-র চার পাশে ঝুলে থাকা পর্দাকে তারা তুলনা করেন দয়ার সঙ্গে।

১৯৭০ সালে ছাতার প্রবেশ golf খেলার মাঠে। উদ্দেশ্য খেলোয়াড়দের রোদ বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করা। কালো রঙের মড়ষভ খেলার ছাতা আকারে বেশ বড়ো হয়। বাজ পড়ে কারোর যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য ছাতার দণ্ডটি তৈরি হয় ফাইবার গ্লাস দিয়ে। দর্শকদের মধ্যে দেখা যায় বিশাল বিশাল golf umbrellaপ্রয়োজনে ছাতার গায়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে।

নানা রঙের ছাতা এখন যেকোনো garden party-কে অনেক বেশি আকর্ষনীয় করে তোলে। মেলা প্রাঙ্গনে ছোট্ট একটা টেবিল আর একটা সুন্দর ছাতা চোখের নিমেষে তৈরি করে দারুণ একটা স্টল। ফোটোগ্রাফির জগতেও ছাতার ব্যবহার উলে­খযোগ্য। ভালো ছবি তুলতে সাবজেক্টের মধ্যে বা পেছনে যাতে কোনো ছায়া না পড়ে তার জন্য photography umbrella ব্যবহার করে আলোর প্রতিফলন ঘটানো হয়।

অনেক উঁচু থেকে ধীরে ধীরে নিচে নামার জন্য প্যারাশ্যুট একটি লাঠি বিহীন ছাতা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্যারাশ্যুট চড়া আর ছাতায় চড়া তাই আক্ষরিক অর্থে এক। যদিও বাস্তবে একদম আলাদা। প্যারাশ্যুটের কাপড় বেশ শক্ত এবং সেলাই খুব মুজবুত হয়।

বর্তমানে চিন ও জাপানে প্রচুর ছাতা তৈরি হয়। চিনের ছাতা আমাদের দেশে অনেক সস্তায় পাওয়া যায়। তবে সস্তার ছাতা খুব টেকসই হয়না। সে তুলনায় আমাদের দেশীয় ছাতা অনেক ভালো। আমেরিকায় এত ছাতা বিক্রি যে শুনে অবাক না হয়ে পারা যায় না। লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটে প্রথম ছাতার দোকান James Smith & Sons সেই ১৮৩০ সাল থেকে আজও বর্তমান। ছাতা তৈরির জন্য ফ্রান্সের বিখ্যাত একটি জায়গার নাম Aurillac

ছাতা প্রচুর বিক্রির পেছনে ছাতা হারানোর অবদান অস্বীকার করা যায় না। ছাতা হারানোর গল্পও আছে মজার মজার। একবার আমার বিশেষ পরিচিত ভদ্রলোক ট্রামে তার প্রিয় ছাতাটিকে হারালেন। তার অনুরোধে বেরোলাম ছাতটি খুঁজতে। চিঠি লিখে জমা দেওয়া হল হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার জন্য ট্রাম কোম্পানী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেল ছাতাটিকে। একটি শতছিন্ন বড়ো কালো ছাতা। হারানিধি স্থান পেল মালিকের বুকে। শুনতে অবাক লাগে, এখনো আমাদের দেশে অনেকের কাছে ছাতা কেনার পয়সা নেই। দরকারে তারা ব্যবহার করেন কচুপাতা, কলারপাতার মতো বিভিন্ন ধরনের পাতা।

ছোটোবেলায় অনেক সময় বর্ষাকালে সোনাব্যাঙকে তার অদ্ভুত ছাতার নিচে বসে থাকতে দেখেছি। সৃষ্টির শুরু থেকেই ব্যাঙেরা ব্যবহার করে আসছে প্রাকৃতিক সেই ছাতা। আমাদের ছাতার সঙ্গে ব্যাঙের ছাতার অনেক মিল। ব্যাঙের ছাতা আসলে ছত্রাক। আবার এই ছত্রাক শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে একটি সংস্কৃত শব্দ- ছত্র। বাংলায় যার অর্থ আমাদের চির পরিচিত ছাতা।

 

প্রকাশিত- চিরকালের ছেলেবেলা । আগস্ট ২০১২

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ