Ticker

20/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

নতুন পথ দেখাতে এলেন আমাদের তন্ময় দাদাভাই ।। দীপালি রায়

আমার প্রিয় ছোট্ট সোনা বন্ধুরা,

আশাকরি সকলেই খুব ভালো আছো! নতুন বছরের শুরুতেই আবার যে তোমাদের কাছে এভাবে চলে আসতে পারব তা কল্পনাও করতে পারিনি। গতবছর মার্চ সংখ্যা প্রকাশের পরপরই কোভিড-১৯ এসে আর সবকিছুর মতোই আমাদেরও থামিয়ে দিয়েছিল। সেসময়ে আমরা নতুন করে পথ চলতে শুরু করেছিলাম তোমাদের নিয়ে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে। বড়োরাও যোগ দিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। খুব মজা হত প্রতিদিনই। করোনার ভয় আমাদের মনকে ছুঁতেও পারেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকল একটু-একটু করে। ভাবলাম, এবার চিরকালের ছেলেবেলা প্রকাশ করা যাবে হয়তো! আমাদের প্রকাশনার বইগুলোও প্রকাশ করতে পারব! কিন্তু ঠিক সেইসময়ই আমাদের কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক গেল নষ্ট হয়ে। সব-সব কাজ হারিয়ে যেন আমরা অথৈ জলে পড়ে গেলাম।

সমুদ্র কিনারে ঢেউয়ের তোলপাড়ের কথা তোমরা সকলেই জানো। মাঝ-সমুদ্র কিন্তু খুবই শান্ত। সেখানে কোনো ঢেউই নেই, আছড়ে পড়ার ভয় নেই, শান্তি আর শান্ত পরিবেশ। সেখানে পৌঁছতে চাই আমরা সকলেই পাড়ের উত্তাল ঢেউ কাটিয়ে। কিন্তু যতই ঝাঁপিয়ে পড়ি মাঝ সমুদ্রে যাওয়ার ভাবনায়, সমুদ্র তার জলরাশির ঢেউয়ে বারেবারেই আছড়ে তীরে ফেরত পাঠায়। তেমনই আমরাও যতই পথ চলতে চাই, বারেবারেই কোনো না কোনো বাধা এসে থামিয়ে দেয়। তবু আমরা চলি, চলতে চাই আগামীতেও। কেন জানো ? তোমাদের ভালোবাসা পাই যে। আর বড়োদের প্রশ্রয় তো আছেই সেই সঙ্গে।

কথায় বলে, যে নিজেকে ভালোবাসে, তাকে ঈশ্বর ভালোবাসে। কথাটার গভীরে লুকিয়ে আছে সেই অমোঘ সত্যটি- নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা, একাগ্রতা আর আস্থা থাকলে কোনো বাধাই বাধা হতে পারে না। কোনো না কোনোভাবে পথ ঠিক খুলে যাবে। চলতে-চলতেই নতুন পথের দিশা মিলবে।

যখন ভাবছি, কী করব, কী করা যায়, কেমন করে বন্ধুদের কাছে পৌঁছনো যায়, কোন পথ ধরে! ঠিক এমন সময়ই ঈশ্বরের দূত হয়ে দু-হাত ভরে আলো নিয়ে নতুন পথ দেখাতে এলেন আমাদের তন্ময় দাদাভাই (শ্রীযুক্ত তন্ময় দে)। তাঁরই একান্ত আন্তরিক উদ্যোগে উন্মোচিত হল- চিরকালের ছেলেবেলার ওয়েবসাইট।

তোমরা পত্রিকার মতোই এখানেও লেখা-আঁকা পাঠাতে পারো বিভিন্ন বিষয়ে। খুব শিঘ্রই ই-মেল আইডি জানিয়ে দেওয়া হবে তোমাদের। সহজেই বন্ধুদেরও আমন্ত্রণ জানাতে পারো লিংক শেয়ার করে চিরকালের ছেলেবেলার ওয়েবসাইটে। থাকবে বড়োদেরও নানান বিষয়ে লেখা। আপাতত ছেলেবেলা ও চিরকালের ছেলেবেলায় পূর্বে প্রকাশিত বেশকিছু লেখা তোমাদের জন্য দেওয়া হল ওয়েবসাইটে। পড়ে জানিও কিন্তু কমেন্ট বক্সে। আর জানিও তোমরা আরো কি-কি চাও, সেকথাও।

বড়োদের কাছেও আমাদের বিনীত অনুরোধ, নিয়মিত আসুন চিরকালের ছেলেবেলার ওয়েবসাইটে। আপনার সেরা লেখাটি পাঠিয়ে সহায়তা করুন চিরকালের ছেলেবেলার ওয়েবসাইটের কাজে। এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ জানাই। প্রত্যাশা করি ওয়েবসাইটের লেখাগুলি সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত জানাবেন কমেন্ট বক্সে আপনারাও। লিংকটি শেয়ার করে আরো পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতেও সহায়তা করবেন আশাকরি।

মজার বিষয় আরো এই যে, আমাদের ওয়েবসাইটের বাংলা লেখাগুলি অন্যান্য ভাষার পাঠকরাও পড়তে পারবেন নিজ-নিজ ভাষায় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে।

কোভিড পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলছে আবারও। এসময়ে আমরা অবশ্যই বড়োদের কথা অক্ষরে-অক্ষরে মেনে চলব। কোনোরকম অমান্য করব না। কারণ, আমরা তো আর সবকিছু বুঝতে পারি না। তাই, যাঁরা বোঝেন, তাঁদের কথা তো শুনতেই হবে। তাই না ? অন্ধকার কেটে গিয়ে নিশ্চয়ই আলোয় ফিরতে পারব আবার আমরা। জীবনের সব থেকে মূল্যবান কি জানো তো ? সময়। এই সময়টাকে অবশ্যই কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেকে তৈরি করার কথা ভাববো সবসময়। আমাদের সকলের মধ্যেই কিছু না কিছু গুণ আছে। তোমার মধ্যে কী গুণ আছে তা তুমিই খুঁজে বের করতে সচেষ্ট হও। নিজেকে খুঁজে ফেরো বারেবার। তৈরি করো, গড়ে তোলো সুন্দর করে। এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে দাও। সেটাই কাজের হবে।

সকলে ভালো থেকো। শুভ কামনা রইল নববর্ষের সুপ্রভাতে।

বড়োদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা। ভালো থাকুন সকলে, ভালো থাকুক প্রতি ঘরের ছোটোবন্ধুরাও।

দীপালি রায়

সম্পাদক- চিরকালের ছেলেবেলা

১লা বৈশাখ ১৪২৮ (১৫ই এপ্রিল ২০২১)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

5 মন্তব্যসমূহ

  1. আমরা পাঠকবর্গ আপ্লুত অভিভূত। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

    উত্তরমুছুন
  2. আমরা পাঠকবর্গ আপ্লুত অভিভূত। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভালো থাকুন, চিরকালের ছেলেবেলার সঙ্গে থাকুন সর্বদাই কামনা করি। ভালো থাকুক প্রতি ঘরের ছোটোবন্ধুরা।

      মুছুন
  3. কতদিন পরে আবার চিরকালের ছেলেবেলার পড়লাম। ছেলেবেলার প্রথম দিনগুলো মনে পড়ে গেল। এখনো যত্ন করে রাখা আছে। প্রথম দিকে হলুদ রঙের প্রচ্ছদ ছিল, তারপর রঙের পালক জুড়ে গেল।
    ছেলেবেলা তো হারায় না, মনে মনে বাঁচে। তাই আমাদের "ছেলেবেলা" "চিরকালের ছেলেবেলা"।

    নতুন আঙ্গিক চিরকালের ছেলেবেলা আরো বেশী পাঠকের কাছে পৌছে যাবে। ধন্যবাদ তন্ময়বাবুর উদ্যোগকে। ধন্যবাদ দিদিভাইকে। আর যে মানুষটার অফুরান ভালোবাসা, জীবনীশক্তি ছেলেবেলাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, সেই মানিকদা'কে কুর্ণিশ।

    তোমাদের স্বপ্নের বীজ একদিন মহীরূহ হবে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. অসংখ্য ধন্যবাদ বিকাশ। তোমার মতামত জুড়ে তো শুধুই আমাদেরই কথা ! জানো তো এই টিমের মধ্যে আছো তুমি-সাগর এবং অগুণতি আরো ভালোবাসার মানুষও। যারা না থাকলে এতটুকুও পথ এগোনো হত না। আমরা দুজন শুধুমাত্র ধ্বজাটা তুলে ধরে রেখেছি। আসলে কাজ যা হচ্ছে-যতটুকু হচ্ছে সবই ভালোবাসার মানুষদের জন্য। কত ছোটোবন্ধুরা আছে, আছেন কত যে গুণি-মানি বড়োরাও!
      সকলে ভালো থেকো, চিরকালের ছেলেবেলার সঙ্গে থেকো। ভালো থাকুক প্রতি ঘরের ছোটোবন্ধুরা।

      মুছুন