![]() |
অনেক অনেক বছর আগে গোপালনগরের রাজা ছিলেন নকুলেশ্বর। শৌর্য-বীর্যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তার সাম্রাজ্যের পরিধি দিন-দিন বর্ধিত হয়ে চলেছিল। অন্যান্য রাজারা নত মস্তকে তাঁর দাসত্ব গ্রহণ করেছিলেন। রাজা গর্বে বুকের ছাতি ফুলিয়ে রাজ্য শাসন করতেন। আর সভাসদেরা করতেন তাঁবেদারি। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টিতে কৃষকদের দুর্দশার শেষ ছিল না।
রাজা একদিন বললেন, এ রাজ্যের যত কৃষক আছে সকলের লাঙল কেড়ে নাও, ব্যাটারা খাজনা দেয় না ঠিক মতো। লাঙলের ফলাগুলো দিয়ে বাণিজ্য জাহাজ তৈরি করো, কামান বানাও। এতে রাজকোষ ভরবে। সাম্রাজ্য বাড়বে।
মন্ত্রী বললেন, যথা আজ্ঞা মহারাজ।
আরো একদিন রাজা বললেন, এ রাজ্যে যত কবি আছে, সকলকে জেলে বন্দি কর। ব্যাটারা রাজার বিরুদ্ধে গান বাঁধে, বিদ্রোহ ছড়ায়।
রাজা একমাত্র বণিকদের ওপর ছিলেন সন্তুষ্ট। মণি-মাণিক্যে রাজকোষ তারা করে তুলেছিল পুষ্ট। রাজার আদেশ হল, উৎসবের আয়োজন করো রাজবাড়িতে। নিমন্ত্রণ করো বণিকদের। আহার পানীয়ের মজলিস বসাও। মজিয়ে দাও ওদের, ওরাই এরাজ্যের শক্তি। সৈন্য-সামন্ত পরিবেষ্টিত রাজবাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে এল গাইয়ে, বাজিয়ে, নাচিয়ে। ঝলমলে আলোর রোশনাই আর নহবতের সুরে গমগম করে উঠল রাজবাড়ি। রসুইখানা থেকে বেরিয়ে এল সুগন্ধি পোলাও-কোপ্তার গন্ধ।
এদিকে চাষিদের পেটে ভাত নেই। ওরা সবাই জড়ো হয়েছিল ভিক্ষাপাত্র নিয়ে রাজপ্রাসাদের সিংহ দরজায়। রাজার সেপাই লাঠি দিয়ে ওদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে রাজপ্রাসাদের অতিথিদের ঢোকার পথ প্রসস্থ করছিল। এসভায় আমন্ত্রিত ভিনদেশী এক শিল্পী প্রাসাদে ঢোকার মুখে এদৃশ্য দেখে এক চাষিকে তাদের এমন দুর্দশার কারণ শুধোলেন। চাষির কাছে সব শুনে শিল্পীর ভারী কষ্ট হল।
রাজপ্রাসাদের মজলিস বসল। আসরে ম্যাজিক, সার্কাস, বাদ্যি-বাজনা, খানা-পিনা কোনো কিছুরই অভাব রইল না। তবুও
রাজপ্রাসাদের বাইরের অভাব, মনোরঞ্জণের
এতকিছুর মধ্যেও রাজার মনের শান্তি বিঘ্নিত করে চলল। অহংকারী রাজা প্রাসাদে উপস্থিত
অতিথি শিল্পীদের জন্য ঘোষণা করলেন, যিনি তাঁর
সর্বাধিক মনোরঞ্জণ করবেন তাঁকে সহস্র কোটি স্বর্ণ মুদ্রায় ভূষিত করে একটি রাজ্য
দান করা হবে। আর যারা তা পারবে না তাদের মস্তক মুণ্ডন করে, গাধার পিঠে চড়িয়ে, বস্ত্র খুলিয়ে, কলাপাতার কপনি পরিয়ে, জুতোর মালা গলায় প্রকাশ্যে নগরের রাস্তা দিয়ে গোবর
জল ছিটিয়ে বিদায় জানানো হবে।
একমাত্র চিত্রকর তীর্থংকর ছাড়া বাকি অতিথিরা অহংকারী রাজার হাতে অসম্মানিত
হওয়ার ভয়ে ছিলেন ভীত-সন্ত্রস্ত। আর এই ভয়েই শিল্পীরা সেরা প্রদর্শনীতে সচেষ্ট হলেও
মনযোগী হতে পারছিলেন না। রাজা কতরকম গান-বাজনা শুনলেন, কতরকমের ভেল্কি দেখলেন, কিন্তু কোনো কিছুতেই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মনের
অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেলেন না। আভিজাত্যের বশে হিরে-মতি-জহরত ছুঁড়লেন। যারা পেলেন
প্রসন্ন চিত্তে কুড়িয়ে নিলেন কিন্তু রাজার মনে কোনোরকম শান্তির উদয় হল না।
সর্বশেষ প্রদর্শনীর জন্য হাজির হলেন চিত্রকর তীর্থংকর। নম্র বিনয়ী চিত্তে বললেন, মহারাজ, আমার শিল্প আপনাকে প্রসন্ন করবে কিনা জানি না। আমি মনের আবেগে ছবি আঁকি আর হৃদয় থেকে আঁকা চিত্র হয় সর্বদা সত্যনিষ্ঠ। আমার মনের ওপর কারো শাসন খাটে না।
রাজা বললেন, ব্যাঙের অধীনস্থ কীট-পতঙ্গ। আবার সাপের অধীনস্থ ব্যাঙ। ময়ূরের অধীনস্থ সাপ। এভাবেই পৃথিবীর শৃঙ্খল রচিত। প্রত্যেক জীব অন্য জীবের অধীনতা স্বীকার করে বেঁচে আছে। এ নিয়ম লঙ্ঘন করা মানে প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ। তাই তোমার মনকে রাজহিতৈষি করে তোলা বাঞ্ছনীয়।
রাজা গোকুলেশ্বর এবার রীতিমতো শাসায় তীর্থংকরকে, জানোতো, রাজাজ্ঞা অমান্য এদেশে দণ্ডনীয় অপরাধ।
তীর্থংকর মৃদু হাসেন। তারপর দৃঢ় চিত্তে বলেন, জানি মহারাজ। তবে আমি কেবল ঈশ্বরের দাস।
যুবকের বালক সুলভ কথা শুনে রাজা হো-হো করে হেসে উঠলেন। বললেন, বেশ বেশ। তুমি যার দাস বলছ নিজেকে, সেও আমার অন্নে রাজমন্দিরে প্রতিপালিত। রাজ পুরোহিতকে যদি কাল থেকে পূজা-নৈবেদ্য-ভোগ দান বন্ধ করে দিতে বলি তিনিও অভুক্ত থাকবেন।
চিত্রকর প্রসন্নচিত্তে বললেন, এ তো সরল নিয়ম মহারাজ। পরমেশ্বর আর অধীশ্বর গোপালক আর গরুর মতো। গোপালক গরুকে যতটা যত্ন-আর্তি করবে গরু ততোটাই দুধ দেবে। অন্নদাতা যারা, মাঠে-মাঠে ফসল ফলায়, আপনাকে প্রভু বলে, তারাও যদি তাদের উৎপন্ন ফসল রাজ ভাণ্ডারে পাঠানো বন্ধ করে দেন আপনারও অন্নাভাব দেখা দেবে মহারাজ। আপনি তাদের ওপর ক্রদ্ধ হবেন, শাসন করবেন। কিন্তু ...
গর্জে উঠলেন গোকুলেশ্বর, সাহস তো তোমার কম নয় যুবক। তোমার কথার মধ্যে রাজ বিরুদ্ধাচারীর স্পষ্ট ইঙ্গিত পাচ্ছি। এই ধৃষ্টতার জন্য জানো আমি তোমার শিরচ্ছেদ করতে পারি। গোকুলেশ্বরকে অন্ন যোগায় তবে সে খেতে পায়। জানো, আমার শস্য ভাণ্ডারে এখন দশ বছরের শস্য সংরক্ষিত।
তীর্থংকর আরো বিনীতভাবে হাত জড়ো করে বললেন, ক্ষমা করবেন মহারাজ। অনুগ্রহ করে যদি আপনি আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলেই এ ভ্রান্তি দূর হতে পারে।
অহংকারী গোকুলেশ্বর নিজেকে পণ্ডিত জ্ঞানী-বিচক্ষণ বলে মনে করতেন তাই চিন্তা মাত্র না করে বললেন, উত্তর আমি দেব, তবে প্রশ্ন উত্তরে যদি তোমার উক্তি সত্য প্রতিষ্ঠিত না হয়, বাতুলতার দায়ে তোমাকে হাতির পায়ের তলায় পিসে মারব।
চিত্রকর সুযোগের সৎ ব্যবহার করলেন। প্রসন্ন চিত্তে বললেন, আর আমার উক্তি যদি যথার্থ হয় কি করবেন মহারাজ ?
আভিজাত্যের ঝোঁকের বসেই গোকুলেশ্বর বলে ফেললেন, আমি তোমার দাসানুদাস হয়ে থাকব।
তীর্থংকর প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। রাজা উত্তর দিয়ে চললেন।
-কীট-পতঙ্গের বাস কোথায় ?
-ঘাসে।
-মহারাজ, ময়ূর যদি সব ঘাস কেটে দেয় কীট-পতঙ্গের কী হবে ?
-কীট-পতঙ্গ মারা যাবে।
-কীট পতঙ্গ মারা গেলে ব্যাঙ কী খাবে ?
মহারাজের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তিনি মনে-মনে ভাবলেন, ব্যাঙ তো ইঁদুর-আরশোলা খাবে না। সত্যিই তাহলে ব্যাঙ কী খাবে! কিছুই ভেবে-চিন্তে উঠতে না পেরে মন্ত্রীকে ফরমাইস করেন।
-কী হে মন্ত্রী একটু ভেবে-চিন্তে বাতলাও!
মন্ত্রী কপাল চুলকোতে-চুলকোতে বললেন, আজ্ঞে মহারাজ হাওয়া।
গোকুলেশ্বর তাকে তিরস্কার করেন।
-গাধা কোথাকার! হাওয়া খেয়ে ব্যাঙ বাঁচে।
তীর্থংকর আবার দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, এখন সাপ ও ময়ূরের নিশ্চিত মৃত্যু।
রাজা বললেন, হ্যাঁ, তাতো বটেই। সাপ ব্যাঙ পাবে না, ময়ূর সাপ পাবে না। সব ব্যাটাই না খেয়ে মরবে। কিন্তু এসব প্রশ্নের সঙ্গে তোমার উক্তির সাদৃশ্য কোথায় ?
তীর্থংকর বললেন, ধৈর্য ধরুন মহারাজ, আমি বিস্তারিত বলছি। মহারাজ আপনি বলেছেন, আপনি স্বয়ং সম্পূর্ণ। শস্যে আপনার গোলা পরিপূর্ণ। আপনি যে অন্ন গ্রহণ করেন, এ কাদের ঘাম রক্তে উৎপন্ন ফসল মহারাজ ?
রাজা বলেন, কেন, আমার রাজ্যের চাষিদের।
তীর্থংকর বললেন, আপনি যেমন ঈশ্বরের রাজ্যের বাসিন্দা বলে মন্দির স্থাপন করে তাকে প্রভু ডেকে দু’বেলা আহার দেন। চাষিরাও তেমনি আপনার রাজ্যে বাস করে আপনাকে দুবেলা আহার যোগায়। মহারাজ অপরাধ নেবেন না। শুনেছি, আপনি তাদের লাঙল কেড়ে নিয়েছেন।
রাজা বললেন, নিয়েছি কারণ ও ব্যাটারা ঠিকমতো খাজনা দেয় না।
তীর্থংকর বললেন, খাজনা ফাঁকি দিলে আপনি যেমন প্রজাদের ওপর ক্ষুন্ন হন। তাদের শাসন করেন। মহেশ্বরের যথার্থ সম্মানে পূজার্চনা না হলে তিনিও আপনার ওপর অসন্তুষ্ট হন। তার পীড়নেই আপনার রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়, আর বলির শিকার হন চাষিরাই। মহারাজ আপনি অহংকারের সিংহাসন ছেড়ে ধূলায় পরমেশ্বরের পায়ে নেমে আসুন। না হলে দশ বছর পরে আপনার পরিপূর্ণ শস্য ভাণ্ডার নিঃশেষিত হবে। আজ চাষিরা না খেয়ে মরলে সেদিন আপনার অন্ন যোগাবে কে ? আপনার রাজ্যে অন্নাভাব দেখা দেবে, প্রজারা বিদ্রোহী হবে। বিদ্রোহ দমন করতে পারবেন না। কারণ হাজার মণি-মাণিক্য থাকলেও আপনার সামরিক সৈন্য বাহিনী খেতে না পেলে লড়বে কিসের জোরে। তারাও আপনার বিরুদ্ধাচারণ করবে। এমন মহাসংগ্রামে আপনার সিংহাসন চ্যুতি ঘটবে। এমন কী প্রাণ নাশের আশঙ্কাও অমূলক নয়।
গোকুলেশ্বর চিত্রকরের কথায় জমে বরফ হয়ে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থেকে বললেন, আমি তোমার কাছে পরাস্ত চিত্রকর। তুমি আমার বন্ধ চোখ খুলে দিয়েছ।
তারপর সিংহাসন থেকে নেমে এসে মুকুট তীর্থংকরের পায়ের কাছে রেখে বললেন, আজ থেকে আমি তোমার দাস। তোমার যে কোনো আদেশ আমি মাথা পেতে নেব। ইচ্ছে করলে তুমি আমাকে সাজাও দিতে পারো।
উপস্থিত সকলে উঠে দাঁড়িয়ে বিস্ময়ে পরস্পরের মুখ চাওয়াচায়ি করতে লাগল। কেউ-কেউ
তীর্থংকরকে মনে করলেন- বড়ো কোনো ছদ্মবেশী
জাদুকর, কথার জাদুতে
রাজাকে সম্মোহিত করেছেন। আবার কেউ-কেউ মনে করলেন-
স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্রের পদার্পণ ঘটেছে তাদের রাজপ্রাসাদে।
তীর্থংকর ঝুঁকে দু’হাতে মাটি থেকে মুকুটটি তুলে নেয়। তারপর সেটা অবনত অহংকারহীন গোকুলেশ্বরের মাথায় পরিয়ে দিয়ে বললেন, একি করছেন মহারাজ। কারোকে দাস মনে করলে নিজেকে যে ছোটো করা হয়। আর অনুশোচনার চাইতে বড়ো সাজা এ পৃথিবীতে আর কিছু নেই। আমরা সকলেই একে-অপরের পরিপূরক। পরমেশ্বর আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে। এই দেখুন, আপনি যেমন ক্ষেতে লাঙল টানতে পারবেন না। কৃষকেরাও কি পারবেন রাজ্য চালাতে! তাই প্রত্যেককে নিজ-নিজ স্থানে কর্ম-উদ্যোগে, একে-অপরের ওপর বিশ্বাস-ভক্তি-শ্রদ্ধা রেখে কাজ করে যেতে হবে। তবেই তো পরমেশ্বর খুশি হবেন। মহারাজ, দয়া করে চাষিদের লাঙলগুলো ফিরিয়ে দিন। সকলের মুখে যারা অন্ন তুলে দেয় তারাই আজ অভুক্ত। বণিকেরা আপনাকে ধনরত্ন এনে দিতে পারবেন কিন্তু শস্য এনে দিতে পারবেন না। আপনার কল-কারখানায় যন্ত্র তৈরি হতে পারে তাই বলে কি শস্য উৎপন্ন হবে!
রাজা তখনই সেনাপতিকে আদেশ দিলেন, এক্ষুনি চাষিদের লাঙল ফিরিয়ে দাও। রাজপ্রাসাদে সকলকে আমন্ত্রণ জানাও। উৎসব শেষে রাজভাণ্ডার থেকে শস্য আর বস্ত্র বিতরণ করো।
রাজপুরোহিতকে বললেন, রাজমন্দিরে পুজোর আয়োজন করুন। আমি নিজে যাব মহেশ্বরের আরাধনায়। আজ থেকে এ রাজ্যে কেউ দাস নয়। আমরা সকলেই সমান ভাবে পরমেশ্বরের অধীন।
তীর্থংকর বললেন, মহারাজ আমার শেষ অনুরোধ, বন্দী কবিদের ছেড়ে দেওয়া হোক। ওরা এ রাজ্যের বিবেক। মানুষের মনুষত্বের কথা নিয়েই তো ওরা গান বাঁধে। মহারাজ সেনাপতিকে নির্দেশ দেন কবিদের মুক্ত করার।
তীর্থংকর বললেন, এবার আমি যাই মহারাজ।
মহারাজ বললেন, তা কি করে হয়! তোমার মতো মানুষকে পেয়ে আমি হারাই কি করে ? আমি তোমাকে আমার অর্ধেক রাজত্ব দান করব। আর রাজকুমারী সুখলেখার সঙ্গে তোমার বিবাহ দেব।
তীর্থংকর বললেন, আমি বৈরাগ্য ধারণ করেছি মহারাজ।
রাজা আর কথা বলতে পারলেন না।
তীর্থংকর চলে যাবার সময় ঝোলা থেকে একটা সাদা পট আর একটা তুলি বার করে মহারাজকে দিলেন। বললেন, মহারাজ, এই তুলি পটে ছোঁয়ালে আপনি ভূত-ভবিষ্যৎ সচক্ষে দেখতে পাবেন। আর ভবিষ্যৎ জানা থাকলে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজও সহজ হবে। আমি চলি।
রাজা গোকুলেশ্বর জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যাবে চিত্রকর ?
হাসি মুখে চিত্রকর বললেন, যেখানে এখনো রাতের অন্ধকার কেটে দিনের আলো ফুটে ওঠেনি। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে আমাকে সেখানে পৌঁছতে হবে মহারাজ।
তীর্থংকরের চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে রইল সকলে।
অলংকরণ- অমর লাহা
প্রকাশিত- চিরকালের ছেলেবেলা । মে ২০১২
0 মন্তব্যসমূহ